বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজের করোনা ওয়ার্ড। নিজস্ব চিত্র
স্বাস্থ্য দফতরের লক্ষ্য, মানুষকে সচেতন করা। বাঁকুড়া মেডিক্যালে ব্যস্ততা আক্রান্তদের পরিষেবা দেওয়ার মতো পরিকাঠামো সাজানোর। করোনা ভাইরাসের মোকাবিলায় এ ভাবেই প্রস্তুত হচ্ছে বাঁকুড়া।
শনিবার বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজে গিয়ে দেখা গেল, আইসোলেশন ওয়ার্ডে পরিকাঠামো গড়ার কাজ চলছে দ্রুত গতিতে। হাসপাতালের এক অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপার কাজের তদারকি করছিলেন। ইমারজেন্সি ওয়ার্ডের বিপরীতে মনোরোগের চিকিৎসার ভবনে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তদের কথা ভেবে ওয়ার্ড গড়া হচ্ছে। পুরুষ ও মহিলাদের জন্য আলাদা-আলাদা। প্রতিটি ওয়ার্ডে থাকছে চারটি করে শয্যা। যার মধ্যে একটি করে শয্যায় রাখা হচ্ছে ভেন্টিলেশন মেশিন। মেডিক্যালের সিসিইউ বিভাগ থেকে ওই যন্ত্র নেওয়া হয়েছে।
হাসপাতাল সূত্রের খবর, স্বাস্থ্য ভবনের কাছে শিশুদের জন্য মোট দু’টি ও প্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য ছ’টি ভেন্টিলেশন মেশিন চাওয়া হয়েছে। এ ছাড়া চাওয়া হয়েছে এন ৯৫ মাস্ক, হাতের দস্তানা। মেডিক্যাল কলেজের মেডিসিন বিভাগের প্রধান শ্যামল কুণ্ডু জানান, প্রাথমিক ভাবে চার জন পুরুষ ও চার জন মহিলা রোগী ভর্তির পরিকাঠামো গড়া হলেও, সেটা আরও বাড়ানোর লক্ষ্য রয়েছে। হাসপাতালের চিকিৎসকদের এই ভাইরাসের মোকাবিলায় চিকিৎসা পদ্ধতি নিয়ে সচেতনও করা হচ্ছে।
বাঁকুড়া মেডিক্যালের অধ্যক্ষ পার্থপ্রতিম প্রধান বলেন, “রাজ্যের নির্দেশ অনুযায়ী, করোনা বিভাগের ওয়ার্ড হাসপাতালের মূল ভবন থেকে পৃথক জায়গায় গড়া হচ্ছে। পরিকাঠামো যা রয়েছে, তাতে আক্রান্তদের পরিষেবা দেওয়া যাবে। আরও যা যা প্রয়োজন স্বাস্থ্য ভবনকে জানানো হয়েছে।”
এ দিকে, করোনা ভাইরাস নিয়ে বাঁকুড়া জেলা জুড়ে নানা গুজব ছড়াচ্ছে। জেলা স্বাস্থ্য কর্তারা কোনও ধরনের গুজবে কান না দেওয়ার জন্য সচেতন করছেন। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক শ্যামল সোরেন জানান, শনিবার পর্যন্ত জেলায় করোনা ভাইরাস আক্রান্ত কোনও রোগীর সন্ধান মেলেনি। সম্প্রতি জেলার পাঁচ জন ব্যক্তি চিন থেকে ফিরেছেন। তাঁদের মধ্যে কারও সংক্রমণ ধরা পড়েনি। সবাই নিজের বাড়িতেই রয়েছেন। ওই পাঁচ জনের মধ্যে তিন জনের উপরে নজর রাখা হচ্ছে বলে জানান শ্যামলবাবু।
শ্যামলবাবু বলেন, “আবহাওয়ার বদলের জন্য এই সময়ে সর্দি-জ্বরে আক্রান্ত হওয়া খুবই স্বাভাবিক। সঙ্গে হাঁচি-কাশিও হয়। এর জন্য অহেতুক ভয় পাওয়ারও কোনও কারণ নেই।” জেলার চিকিৎসকদের অনেকেই জানাচ্ছেন, তাঁদের কাছে আসা সাধারণ সর্দি-জ্বরে আক্রান্ত অনেকেই করোনা ভাইরাসের ভয় পাচ্ছেন। শনিবার জেলার বিভিন্ন নার্সিংহোমের চিকিৎসকদের নিয়ে বৈঠক করেন শ্যামলবাবু। কী ভাবে রোগীদের সচেতন করতে হবে, তা নিয়ে ডাক্তারদের সঙ্গে আলোচনা করা হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy