প্রতীকী ছবি।
ঝালদা ২ পঞ্চায়েত সমিতির চারটি স্থায়ী সমিতির কর্মাধ্যক্ষ পদের নির্বাচনে জিতল কংগ্রেস। দু’টি স্থায়ী সমিতির কর্মাধ্যক্ষ পদ দখল করেছে তৃণমূল। একটি করে স্থায়ী সমিটির কর্মাধ্যক্ষ পদে জিতেছে বিজেপি, সিপিএম এবং ফরওয়ার্ড ব্লক।
সোমবার ওই পঞ্চায়েত সমিতির ন’টি স্থায়ী সমিতির কর্মাধ্যক্ষ নির্বাচন হয়। উত্তেজনা থাকায় ব্লক কার্যালয়ে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল। তবে গোলমাল হয়নি। বিডিও (ঝালদা ২) অরুণকুমার বিশ্বাস বলেন, ‘‘শান্তিপূর্ণ ভাবে ন'টি স্থায়ী সমিতির কর্মাধ্যক্ষ নির্বাচন হয়েছে।’’
প্রায় দু’মাস আগে গঠিত হয়েছিল সমিতির ন’টি স্থায়ী সমিতি। কিন্তু কর্মাধ্যক্ষ পদে নির্বাচন না হওয়ায় ক্ষোভ ছড়াচ্ছিল এলাকায়। উন্নয়নের অনেক কাজ কাজ আটকে গিয়েছিল বলে অভিযোগ। স্থায়ী সমিতিগুলির কর্মাধ্যক্ষ পদে দ্রুত নির্বাচনের দাবিতে গত ১৯ সেপ্টেম্বর কংগ্রেস কর্মীরা মহকুমাশাসকের (ঝালদা) দফতর ঘেরাও করে বিক্ষোভে দেখিয়েছিলেন।
ঝালদা ২ ব্লক কংগ্রেসের সভাপতি ফণিভূষণ কুমারের দাবি, ‘‘চারটি স্থায়ী সমিতির (পূর্ত ও পরিবহণ, কৃষি, জনস্বাস্থ্য এবং ক্ষুদ্রশিল্প ও বিদ্যুৎ) কর্মাধ্যক্ষ হয়েছেন আমাদের দলের সদস্য। আরও একটি স্থায়ী সমিতিতে (মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ বিকাশ) আমরা সংখ্যাগরিষ্ঠ। আমাদের সমর্থনে ওই সমিতির কর্মাধ্যক্ষ পদে নির্বাচিত হয়েছেন বিজেপি সদস্য।’’
ওই কংগ্রেস নেতার দাবি, ‘‘পাঁচটি স্থায়ী সমিতিতে আমরা প্রথম থেকেই সংখ্যাগরিষ্ঠ ছিলাম। পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতির পদও আমাদের দখলে। বলতে গেলে এখন ব্লকের নিয়ন্ত্রণ আমাদের হাতে।’’
কংগ্রেসের এই দাবি অবশ্য মানতে নারাজ তৃণমূল। ঝালদা ২ ব্লক তৃণমূল নেতা দীপক সিংহের দাবি, ‘‘পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি আমাদের দলের। তাই ব্লকের নিয়ন্ত্রণ রয়েছে আমাদের হাতেই।’’ ব্লক প্রশাসন সূত্রের খবর, দু’টি স্থায়ী সমিতির (খাদ্য সরবরাহ এবং বন ও ভূমি সংস্কার) কর্মাধ্যক্ষ পদে জিতেছে তৃণমূল। শিক্ষা-সংস্কৃতি-তথ্য-ক্রীড়া এবং শিশু ও নারীকল্যাণ স্থায়ী সমিতির কর্মাধ্যক্ষ পদে জয়ী হয়েছেন যথাক্রমে ফরওয়ার্ড ব্লক এবং সিপিএম সদস্য।
পঞ্চায়েত নির্বাচনে ২৪ আসনের ঝালদা-২ পঞ্চায়েত সমিতিতে কংগ্রেস পেয়েছিল ১১টি আসন। বিজেপি তিনটি এবং তৃণমূল পাঁচটি আসনে জয়ী হয়। সিপিএম এবং ফরওয়ার্ড ব্লকের দখলে গিয়েছিল যথাক্রমে চার এবং একটি করে আসন। পরে কংগ্রেসের এক সদস্য তৃণমূলে
যোগ দেন।
পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি নির্বাচনে বিজেপির দু’জন সদস্য কংগ্রেসকে সমর্থন করেন। ফলে, কংগ্রেস এবং বিরোধী পক্ষের সদস্য সংখ্যা সমান (১২) হয়ে যায়। লটারির মাধ্যমে সভাপতি নির্বাচিত হয়েছিলেন তৃণমূলের সরলা মুর্মু। সহ-সভাপতি হন কংগ্রেস এর হেমানি সোরেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy