Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪

শ্যামের ওয়ার্ড থেকে প্রার্থী তুলে নিল কংগ্রেসও

বিষ্ণুপুরের পাঁচবারের পুরপ্রধান, রাজ্যের মন্ত্রী শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়াবার মতো বিজেপি তো প্রার্থীই পাইনি। ছিল সিপিএম ও কংগ্রেস। মনোনয়ন প্রত্যাহার পর্ব শেষ হতেই দেখা গেল কংগ্রেসও হাওয়া। এখন হেভিওয়েট এই প্রার্থীর ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে দ্বিমুখী লড়াই শুধু সিপিএমের সঙ্গে।

নিজস্ব সংবাদদাতা
বিষ্ণুপুর শেষ আপডেট: ৩০ মার্চ ২০১৫ ০০:৩৯
Share: Save:

বিষ্ণুপুরের পাঁচবারের পুরপ্রধান, রাজ্যের মন্ত্রী শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়াবার মতো বিজেপি তো প্রার্থীই পাইনি। ছিল সিপিএম ও কংগ্রেস। মনোনয়ন প্রত্যাহার পর্ব শেষ হতেই দেখা গেল কংগ্রেসও হাওয়া। এখন হেভিওয়েট এই প্রার্থীর ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে দ্বিমুখী লড়াই শুধু সিপিএমের সঙ্গে।

শহরের আর এক হেভিওয়েট পাঁচ বারের উপপুরপ্রধান বুদ্ধদেব মুখোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েও নাম প্রত্যাহার করে নিল সিপিএম ও বিজেপি। তাঁর ৯ নম্বর ওয়ার্ডে এখন একমাত্র প্রতিপক্ষ রইল কংগ্রেস। এ ছাড়া বিষ্ণুপুরের ১১ ও ১৯ নম্বর ওয়ার্ড থেকেও নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছে বিজেপি। কংগ্রেস সরে দাঁড়িয়েছে ১৫ নম্বর ওয়ার্ড থেকেও। ১৯ নম্বর ওয়ার্ড থেকে নাম তুলে নিয়েছে এক নির্দল প্রার্থী।

অন্যদিকে সোনামুখী পুরসভার নির্বাচনেও ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে সিপিএমের এক প্রার্থী নাম প্রত্যাহার করেছেন। প্রত্যাহারের তালিকায় আছেন ৯ নম্বর ওয়ার্ডের এক কংগ্রেস এবং ১১ নম্বর ওয়ার্ডের এক নির্দল প্রার্থীর নামও। সব মিলিয়ে সরকারি পরিসংখ্যান থেকে দেখা যাচ্ছে, বিষ্ণুপুরে ১৯টি ওয়ার্ডে প্রার্থীপদ প্রত্যাহারের পর মোট প্রার্থীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬৫। এর মধ্যে তৃণমূল ১৯, সিপিএম ১৪, ফরওয়ার্ড ব্লক ২, বাম সমর্থিত নির্দল ২, বিজেপি ১৫, কংগ্রেস ১০ ও নির্দল ৩।

সোনামুখীতে ১৫টি ওয়ার্ডে লড়ছেন ৫২ জন প্রার্থী। চিত্রটা এ রকম তৃণমূল ১৪, সিপিএম ৯, ফরওয়ার্ড ব্লক ১, আরএসপি ১, বাম সমর্থিত নির্দল ৩, বিজেপি ১৩, কংগ্রেস ৪ এবং নির্দল ৭।

প্রার্থীপদ প্রত্যাহার নিয়ে অবশ্য কোনও দলই কারও বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ জানাননি। বিজেপির বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি স্বপন ঘোষ মুখে বলছেন, “ভয় দেখানোর ফলেই আমাদের তিন প্রার্থী সরে দাঁড়িয়েছেন। তবে আমরা কোথাও অভিযোগ জানাইনি।” কেন অভিযোগ জানাননি, তার কোনও সদুত্তরও নেই তাঁর কাছে। একই মন্তব্য সিপিএমের বিষ্ণুপুর জোনাল সম্পাদক অনিল পণ্ডিত ও বিষ্ণুপুর শহর কংগ্রেস সভাপতি উদয় চক্রবর্তীর। ভয় দেখানোর অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা বলে দাবি করেছেন শ্যামাপ্রসাদবাবু। তিনি দাবি করেছেন, “ওই দলগুলির সাংগঠনিক দুর্বলতার কারণে কয়েক জন সরে গিয়েছেন বলে শুনেছি। ভয় দেখানোর অভিযোগ সম্পূর্ণ ভাবে মিথ্যা।”

সোনামুখীতে সিপিএমের এক প্রার্থী নাম তুলে নেওয়ার কারণ দর্শাতে গিয়ে ওই দলের জেলা কমিটির সদস্য শেখর ভট্টাচার্য দাবি করেছেন, “ওই ওয়ার্ডে এক নির্দলকে সমর্থন জানানোর জন্য ওই প্রার্থীকে তুলে নেওয়া হয়েছে। এর পিছনে অন্য কোনও কারণ নেই।” মনোনয়নপত্র বাছাইপর্বে একটি জরুরি কাগজ জমা না পড়ায় বাতিল হয়েছে ১১ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী মৌসুমী রজকের নাম। স্থানীয় তৃণমূল নেতা তথা সোনামুখীর প্রাক্তন তৃণমূল পুরপ্রধান মিহির মুখোপাধ্যায় বলেন, “ওই ওয়ার্ডের নির্দল প্রার্থী চৈতালি বিশ্বাসকে সমর্থন করছি আমরা।”

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE