Advertisement
০৩ নভেম্বর ২০২৪

Congress Councillor Murder case: আইসি-সহ খুনিদের ফাঁসি চাই, আদালতের সিবিআই নির্দেশ শুনে প্রতিক্রিয়া নিহত তপনের স্ত্রীর

তপন হত্যাকাণ্ডে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ শোনার পর আবেগ চেপে রাখতে পারেননি তাঁর স্ত্রী পূর্ণিমা। কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি।

সিবিআই তদন্তের নির্দেশে খুশি নিহত তপন কান্দুর স্ত্রী পূর্ণিমা কান্দু।

সিবিআই তদন্তের নির্দেশে খুশি নিহত তপন কান্দুর স্ত্রী পূর্ণিমা কান্দু। —ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
ঝালদা শেষ আপডেট: ০৪ এপ্রিল ২০২২ ১৬:৪৯
Share: Save:

ঝালদার কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু হত্যাকাণ্ডের তদন্তভার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা (সিবিআই)-র হাতে তুলে দিয়েছে কলকাতা হাই কোর্ট। আদালতের এই নির্দেশে ‘জয়’ দেখছেন নিহত তপনের স্ত্রী পূর্ণিমা কান্দু। তপন-হত্যায় জড়িতদের ফাঁসির দাবি তুলেছেন তিনি। পাশাপাশি, ঝালদার আইসি সঞ্জীব ঘোষেরও ফাঁসি চেয়েছেন পূর্ণিমা। সিবিআই তদন্তের নির্দেশে আদালতকে ধন্যবাদও জানিয়েছেন।
তপন হত্যাকাণ্ডে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ শোনার পর আবেগ চেপে রাখতে পারেননি পূর্ণিমা। কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি। উচ্চ আদালতকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘‘এই হত্যাকাণ্ডে আদালত সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে যাতে দোষীরা ধরা পড়ে। আমি হত্যাকারীদের ফাঁসি চাই। এই ঘটনায় আইসি-ও জড়িত আছে। আইসিরও যেন ফাঁসি হয়। তপন কান্দু কী করেছিল? কেন ওঁকে খুন করা হল?’’

রবিবারই সাংবাদিক বৈঠক করে ঝালদার আইসি-কে ক্লিনচিট দিয়েছে তপন-খুনের তদন্তের জন্য গঠিত বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট)। তা নিয়ে পূর্ণিমার বক্তব্য, ‘‘পুলিশ বাঁচার জন্য এটা করেছিল। মহামান্য আদালতকে ধন্যবাদ জানাব। আমি এতে খুশি। এই জয় আমার একার নয়, ঝালদাবাসীর জয়।’’

তপন-হত্যার পর থেকে কান্দু পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন কংগ্রেসের পুরুলিয়া জেলার সভাপতি নেপাল মাহাতো। কান্দু পরিবারের সিবিআই তদন্তের দাবিতে উচ্চ আদালতে আবেদনের পিছনে নেপালের ভূমিকার কথা স্বীকার করেছেন পূর্ণিমাও। সেই নেপালের অভিযোগ, ‘‘পূর্ণিমা কান্দু আগেই বলেছিলেন, আইসি সঞ্জীব ঘোষ চক্রান্ত করেছিলেন বোর্ড দখলের জন্য। এটা স্পষ্ট। কারণ পুরবোর্ড কংগ্রেসের দখলে আসার সম্ভাবনা ছিল। গত ১১ মার্চ তপন বলেছিলেন, ‘আমি শহিদ হয়ে গেলেও দলবদল করব না।’ ঘটনাচক্রে ১৩ মার্চ উনি খুন হন। এই দু’দিনে পারিবারিক বিবাদ তৈরি হয়ে গেল? আইসি-কে ক্লিনচিট দিতেই গতকাল সাংবাদিক বৈঠক করেছিল পুলিশ। পুলিশ নানা ভাবে চেপে দিতে পারে, তা আন্দাজ করেই আমরা হাই কোর্টে গিয়েছিলাম। আমরা খুশি। আশা করি সুবিচার পাব।’’

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE