প্রকল্পের জন্য ৭৭ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে। —প্রতীকী চিত্র।
জমি জটিলতায় আটকে রামপুরহাট শহরের নতুন জল প্রকল্পের কাজ। পুরসভার তরফে জানানো হয়েছে, শীঘ্রই নতুন জল প্রকল্পের জন্য সেচ দফতরের তরফে বৈধরা এলাকায় ৬ একর জায়গা হস্তান্তর হবে। এ দিকে সেচ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, তাদের কাছে এখনও পর্যন্ত জলসম্পদ দফতর থেকে কোনও চিঠিই আসেনি। এর ফলে কার্যত নতুন জল প্রকল্পের জন্য জমি জটিলতা কাটেনি। এই অবস্থায় শহরবাসীর কাছে পরিস্রুত পানীয় জল পৌঁছে দেওয়ার জন্য শহর থেকে ১৩ কিলোমিটার দূরে ব্রাহ্মণী নদী থেকে জল সরবরাহ করার জন্য কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের সহযোগিতায় ‘আম্রুত ২.০’ প্রকল্প কার্যকর হতে এখনও দেরি আছে।
পুরসভা জানিয়েছে, শহর এলাকায় জল সরবরাহের জন্য ১০০ কোটি টাকার প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। ইতিমধ্যে প্রকল্পের জন্য ৭৭ কোটি টাকা বরাদ্দও হয়েছে। পুরপ্রধান সৌমেন ভকত জানান, প্রকল্পে সেচ দফতরের সঙ্গে জমি হস্তান্তর চলতি মাসের মধ্যে শেষ হবে।
২০১০ সালে শহর এলাকায় পরিস্রুত পানীয় জল সরবরাহের জন্য শেষ কাজ হয়। তখন পুরসভার ১৭টি ওয়ার্ড ছিল। ২০১৫ সালে পুরসভার ১৮টি ওয়ার্ড করা হয়। ৫, ৯, ১১, ১২, ১৩, ১৪, ১৫ ও ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের পরিস্রুত পানীয় জল পেতে অসুবিধা হয়।
৫, ৯, ১৪ ও ১৮ এই সমস্ত ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের অভিযোগ, সব বাড়িতে পানীয় জল সরবরাহের জন্য পুরসভায় টাকা জমা দিয়ে পানীয় জলের সংযোগ নেওয়া হলেও এখনও পর্যন্ত অনেকের বাড়িতেই পুরসভার জল পৌঁছয়নি। পানীয় জলের সমস্যায় শহরের প্রায় সব ক’টি ওয়ার্ডের পানীয় জল সরবরাহ ব্যবস্থায় সমস্যা সমাধানে সাবমার্সিবল পাম্প বসানো হলেও বাসিন্দাদের জলের সমস্যা মেটেনি। এ বছরে গ্রীষ্মকালে বেশির ভাগ ওয়ার্ডে জলস্তর অনেক নীচে নেমে যায়। এই পরিস্থিতিতে পুরসভার বিস্তীর্ণ এলাকায় সুষ্ঠু ভাবে পানীয় জল সরবরাহের জন্য কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের সহযোগিতায় ‘অম্রুত ২.০’ প্রকল্প গ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নেয় পুরসভা।
পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, ‘অম্রুত ২.০’ প্রকল্পে বৈধরা এলাকা থেকে ব্রাহ্মণী নদীতে পাম্প বসিয়ে ওই জল উত্তোলন করে পাইপ লাইনের মাধ্যমে রামপুরহাট শহর সংলগ্ন ঝনঝনিয়া এলাকায় পরিস্রুত করা হবে। সেখান থেকে শহরের বিস্তীর্ণ এলাকায় পানীয় জল সরবরাহ করা হবে। শহরের চালধোয়ানি পুকুরপাড়ে দু’টি রিজার্ভার তৈরি হবে। নতুন জল প্রকল্পের জন্য নতুন পাইপ লাইনও বসানো হবে। বর্তমানে ১০ হাজার বাড়িতে জলের সংযোগ দেওয়া আছে। নতুন জল প্রকল্পের মাধ্যমে আগামী দিনে ১৩ হাজার বাড়িতে পানীয় জলের নতুন করে সংযোগ দেওয়া হবে।
প্রকল্পটির জন্য সেচ দফতরের কাছে বৈধরা এলাকায় ৬ একর জায়গা চাওয়া হয়েছে। ওই জায়গায় পাম্পিং স্টেশন, রিজার্ভার, স্টাফ কোয়ার্টার হবে। চলতি মাসের মধ্যে জমি হস্তান্তর হয়ে যাবে বলে পুরসভার দাবি। অন্য দিকে সেচ দফতরের ময়ূরাক্ষী উত্তর ক্যানালের নির্বাহী আধিকারিক বরুণ দাস বলেন, “এ বিষয়ে জলসম্পদ দফতর থেকে এখনও কোনও চিঠি দফতরে আসেনি।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy