উদ্ধার করা হচ্ছে দেহ। কোপাইয়ের তীরে উৎসাহীরা। নিজস্ব চিত্র।
ঘটনাস্থল থেকে প্রায় চার কিলোমিটার দূরে শুক্রবার সকাল সাড়ে সাতটা নাগাদ তলিয়ে যাওয়া স্কুলছাত্রের দেহ উদ্ধার হল। মহম্মদ আমানের দেহ উদ্ধারের পরে পরিবারের তরফে চার বন্ধুর বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সিউড়ি থেকে বন্ধুদের সঙ্গে কোপাই নদীতে স্নান করতে এসে শান্তিনিকেতনের গোয়ালপাড়া ব্রিজ-এর কাছে তলিয়ে গিয়েছিল বছর আঠেরোর, দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র আমান। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত তল্লাশি চালিয়েও খোঁজ মেলেনি। সন্ধ্যায় ডুবুরি পর্যন্ত নামানো হয়। শুক্রবার সকাল থেকে ফের বিপর্যয় মোকাবিলা টিম ও ডুবুরি যৌথ ভাবে তল্লাশি চালায় নদীতে। তখনই তালতোড়ের ঘাটের কাছে দেহ ভেসে থাকতে দেখা যায়। দেহ ময়নাতদন্তের জন্য বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আমনের মা মহফুজ বানু বলেন, ‘‘ছেলে সাঁতার জানত না। সেটা ওর বন্ধুরাও জানত। ছেলের শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গিয়েছে। তাই এটা একটা চক্রান্ত হতেই পারে। পুলিশ তদন্ত করুক এটাই চাই।’’ পুলিশ জানিয়েছে, পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে আমানের চার বন্ধুকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।
বন্ধুদের সঙ্গে স্নান করতে গিয়ে জলে তলিয়ে যাওয়ার ঘটনা আগেও ঘটেছে জেলায়। গত বছর নভেম্বর মাসে বোলপুর থানার সিঙ্গি গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত ঘিদহ গ্রামে চার বন্ধুর সঙ্গে স্নান করতে এসে অজয়ে তলিয়ে যায় ১৪ বছর বয়সের এক কিশোর। গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে সিউড়ি গোবরা গ্রামের কাছে নামে এক ইঞ্জিনিয়ারিং এর ছাত্র চার বন্ধুর সঙ্গে ময়ূরাক্ষী সেচ ক্যানালের জলে স্নান করতে গিয়ে তলিয়ে গিয়েছিল। দেহ উদ্ধারের পরে পরিবারের লোকেরা খুনের অভিযোগ করেছিল। তদন্তে উঠে আসে বন্ধুরা মিলে নেশা করে স্নান করতে যাওয়ায় বিপত্তি। দুই বন্ধুকে পুলিশ গ্রেফতারও করে। সেই মামলা এখনও বিচারাধীন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy