পথে মিছিল। নিজস্ব চিত্র
কাশীপুরের কলেজ মাঠে বিজেপিকে সভা করার অনুমতি দেয়নি প্রশাসন। তার পরেও রবিবার সেই মাঠেই ট্রাক্টরের ডালায় মঞ্চ বেঁধে সভা হল। সেখান থেকে প্রশাসনের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ ও আর এক নেতা মুকুল রায়। পরবর্তী সময়ে প্রশাসন অনুমতি না দিলে তাঁরা শুধু সভা নয়, এলাকায় মিছিলও করবেন, বললেন দিলীপবাবু।
তবে জেলা প্রশাসনের দাবি, কাশীপুরের ওই মাঠে সভা করার জন্য বিজেপি নিয়ম মেনে আবেদন করেনি বলেই সভার অনুমতি দেওয়া হয়নি। অনুমতি না নিয়ে সভা করার জন্য বিজেপির নেতাদের বিরুদ্ধে তাঁরা আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন পুরুলিয়ার জেলাশাসক অলকেশপ্রসাদ রায়। সেই কথা শোনার পরে দলের জেলা সভাপতি বিদ্যাসাগর চক্রবর্তী বলেন, ‘‘এই ঘটনা নতুন কিছু নয়। ইতিমধ্যেই আমাদের শতাধিক নেতা-কর্মীকে মিথ্যা মামলায় জড়িয়েছে পুলিশ ও প্রশাসন।’’
কাশীপুরের কলেজ মাঠে বিজেপির সভা নিয়ে শনিবার দুপুর থেকেই টানাপড়েন শুরু হয়েছিল। বিজেপির দাবি রাজ্যে গণতন্ত্র বাঁচানোর ডাক দিয়ে তারা এই সভা করার জন্য সাত দিন আগেই পুলিশের কাছে চিঠি দিয়ে আবেদন করেছিল। দলের জেলা সভাপতি বিদ্যাসাগর চক্রবর্তীর দাবি, ওই মাঠেই দু’জনের রায়তি জমি রয়েছে। সেই মালিকদের থেকে অনুমতি নিয়ে তাঁরা পুলিশের কাছে রবিবার দুপুরে সভা করার জন্য আবেদন করেছিলেন।
জেলা প্রশাসনের দাবি, কাশীপুরের যে মাঠে বিজেপি সভা করেছে সেটি সরকারি সম্পত্তি। জেলাশাসক জানান, নিয়ম অনুযায়ী যেখানে সভা করবে কোনও রাজনৈতিক দল, সেই জমি বা মাঠ যার সম্পত্তি তাঁর থেকে আগে অনুমতি নিয়ে সেই নথি-সহ পুলিশের কাছে আবেদন করতে হবে। এক্ষেত্রে ওই মাঠে সভা করার জন্য ব্লক ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দফতরের থেকে আগাম অনুমতি নেয়নি বিজেপি। শুধু পুলিশের কাছে চিঠি দিয়ে অনুমতি চাওয়া হয়েছিল।
শনিবার দুপুরে জেলা প্রশাসনের তরফে বিজপি নেতৃত্বকে জানানো হয়, ওই মাঠে সভা করার জন্য প্রয়োজনীয় নিয়ম মেনে আবেদন তাঁরা করেননি। তাই অনুমতি দেওয়া যাবে না। মাঠে মঞ্চ তৈরি করে ফেলেছিল বিজেপি। শনিবার সন্ধ্যায় জেলাশাসক মঞ্চ খুলে ফেলার নির্দেশ দেন। বিজেপির লোকজনই মঞ্চ খুলে নিয়েছিলেন।
এ দিন অবশ্য সেই মাঠেই সভা হয়েছে। তার আগে মাঠ থেকে কাশীপুর বাজার পর্যন্ত মিছিল করেন বিজেপির নেতা কর্মীরা। পুলিশের দাবি, রবিবার মিছিল করার আগাম অনুমতি নেয়নি বিজেপি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy