সিমলাপালে। নিজস্ব চিত্র
বিজয় মিছিল করা যাবে না—রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসা ঠেকাতে কড়া নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফলে লোকসভা ভোটে নজিরবিহীন সাফল্য অর্জন করলেও রাস্তায় বেরিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করতে পারছেন না বিজেপি কর্মীরা। এই প্রেক্ষিতে কৌশল বদল করলেন সিমলাপালের বিজেপি নেতৃত্ব। এলাকায় ‘অভিনন্দন মিছিল’ বার করে জয়ের আনন্দে মাতলেন বিজেপির নেতাকর্মীরা। যদিও পুলিশের দাবি, এ দিন সিমলাপালে বিজেপুর কোনও বিজয় মিছিল বা অভিনন্দন মিছিল হয়নি।
রবিবার সকাল ৯ টা নাগাদ সিমলাপালের লক্ষ্মীসাগর দশকেনিয়া থেকে মিছিল বার করে বিজেপি। নাম দেওয়া হয় ‘অভিনন্দন মিছিল’। বাজার এলাকা ঘুরে সেই মিছিল শেষ হয় হাটতলায়। বাঁকুড়া লোকসভা কেন্দ্রে জিতেছেন বিজেপি প্রার্থী সুভাষ সরকার। সিমলাপাল ব্লক এলাকাতে এবার ভোটে ব্যাপক সাফল্য পেয়েছে বিজেপি। মিছিলের পথে এ দিন সিমলাপালের লক্ষ্মীসাগর এলাকার বাসিন্দাদের মিষ্টি মুখ করান বিজেপি কর্মীরা। জলের তরফে দাবি করা হয়েছে, লক্ষ্মীসাগর বাজার এলাকায় ১০ হাজার লাড্ডু বিলি করা হয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ অগ্রাহ্য করে কেন মিছিল?
বিজেপির সিমলাপাল মণ্ডলের (পশ্চিম) সাধারণ সম্পাদক সুদিন মণ্ডলের চটজলদি উত্তর, ‘‘বিজয় মিছিলে বাধা আছে। কিন্তু অন্য কোনও মিছিলে তো বাধা নেই। তাই পুলিশকে মৌখিকভাবে জানিয়েই আমরা সুশৃঙ্খল এবং শান্তিপূর্ণ ভাবে ‘অভিনন্দন মিছিল’ করেছি।’’ সঙ্গে সংযোজন, ‘‘ভোটে আমরা যে সাফল্য পেয়েছি, তার কারিগর সাধারণ মানুষ। তাই সিমলাপালের লক্ষ্মীসাগর এলাকার বাসিন্দাদের এ দিন মিষ্টি মুখ করিয়ে অভিনন্দন জানানো হয়।’’ এ দিন মিছিলে হাঁটেন বিজেপির সিমলাপাল মণ্ডলের (পশ্চিম) সভাপতি অলোকবিকাশ হোতা এবং দলের জেলা সাংগঠনিক সহ সভাপতি চক্রধর মাহাতো। বিজেপির দাবি, মিছিলে পা মেলান দলের দু’হাজার কর্মী। যদিও তৃণমূলের দাবি, পাঁচশো লোকও ছিল না মিছিলে।
সিমলাপাল ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি রামানুজ সিংহমহাপাত্র বলেন, ‘‘নাম বদলালে কি হবে? মূলত এটা ছিল বিজেপির বিজয় মিছিল।’’ তাঁর অভিযোগ, ‘‘বিজেপির নেতা-কর্মীরা উচ্ছ্বাস দেখাতে সারা বাজার গেরুয়া আবির নিয়ে নেচেছেন। তাঁদের সঙ্গে ছিল মাইক, বড়বড় সাউন্ড বক্স, ব্যান্ডপার্টি।’’ পুলিশের বিরুদ্ধে রামানুজবাবুর অভিযোগ, ‘‘বিজেপির এই বিজয় মিছিলের বিষয়টি ফোনে পুলিশকে জানানো হয়েছিল। তারপরও পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি।’’ যদিও এসডিপিও (খাতড়া) বিবেক বর্মার বক্তব্য, ‘‘ওই ধরনের কোনও মিছিল হয়েছে বলে জানা নেই। মিছিলের কোনও অমুমতি ছিল না।’’ স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের দাবি, মিছিল চলাকালীন পুলিশের একটি গাড়ি সেখানে এসেছিল। তবে পুলিশকর্মীরা গাড়ি থেকে নামেননি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy