—নিজস্ব চিত্র।
বিজেপিকে হটাতে জাতীয় স্তরে জোটে রয়েছে তৃণমূল এবং বামেরা। এ দিকে, রাজ্যে বিভিন্ন জায়গায় শাসক তৃণমূলকে ঠেকাতে পঞ্চায়েত দখলে জয়ী বাম সদস্যেরা হাত মেলাচ্ছেন বিজেপির সঙ্গে। নদিয়া, মুর্শিদাবাদের পর এ বার বাঁকুড়াতেও ফিরে এল সমবায় ভোটের সেই ‘নন্দকুমার মডেল’। বুধবার বড়জোড়া ব্লকের বৃন্দাবনপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে এক মাত্র সিপিএম সদস্য পরেশ লোহার বিজেপিকে সমর্থন জানানোয় ত্রিশঙ্কু অবস্থায় থাকা ওই গ্রাম পঞ্চায়েত চলে গেল বিজেপির দখলে। এ নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়ছে না শাসকদল।
বৃন্দাবনপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মোট আসন সংখ্যা ১১। তার মধ্যে পাঁচটি করে আসনে জেতে তৃণমূল ও বিজেপি। সিপিএম জেতে একটি আসনে। কোনও রাজনৈতিক দলেরই নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা না থাকায় ত্রিশঙ্কু হয়ে পড়ে পঞ্চায়েতটি। বুধবার ওই গ্রাম পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন প্রক্রিয়া শুরু হতেই সিপিএমের একমাত্র পঞ্চায়েত সদস্য পরেশ সমর্থন দেন বিজেপিকে। এর ফলে বিজেপি ওই গ্রাম পঞ্চায়েতের সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হিসাবে বোর্ড গঠন করে।
সিপিএমের জয়ী প্রার্থীর বিজেপিকে সমর্থনের ঘটনাকে ‘রাম-বাম’ জোট বলে কটাক্ষ করেছে তৃণমূল। রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী শ্যামল সাঁতরা বলেন, ‘‘২০১৯ সাল থেকেই এ রাজ্যে বাম-রাম জোটবদ্ধ হয়ে নির্বাচনে লড়াই লড়ছে। এত দিন সেই আঁতাত গোপনে থাকলেও এখন তা প্রকাশ্যে আসতে শুরু করেছে। রাম-বামের এই আঁতাত এলাকার মানুষের জন্য ভাল নয়।’’
বিজেপি ও সিপিএম দুই দলই একে ‘রাম-বাম’ জোট বলে মানতে নারাজ। পরেশ বলেন, ‘‘আমি সিপিএমে ছিলাম, আছি এবং আগামী দিনেও থাকব। শুধুমাত্র চোর তৃণমূলকে হটাতে ও জনগণের পঞ্চায়েত গঠনের স্বার্থে বিজেপিকে সমর্থন জানিয়েছি।’’ বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলার বিজেপি নেতা স্বরুপ ঘোষ বলেন, ‘‘রাম-বাম জোট নয়। এত দিন ধরে তৃণমূল এই গ্রাম পঞ্চায়েতে যে সন্ত্রাস ও লুট চালিয়েছে, সাধারণ মানুষ তার জবাব দিয়েছে। এই জয় বৃন্দাবনপুর পঞ্চায়েতের সাধারণ মানুষের জয়।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy