প্রতীকী ছবি।
বিজেপির মিছিল আটকানো ঘিরে উত্তেজনা ছড়াল বাঁকুড়ার রানিবাঁধে। এই ঘটনা নিয়ে বিজেপি-তৃণমূল বাগযুদ্ধ শুরু হয়েছে।
সোমবার দুপুরে বিজেপির ‘শহিদ সম্মান যাত্রা’ কর্মসূচি উপলক্ষে খাতড়ায় যান কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী তথা বাঁকুড়ার সাংসদ সুভাষ সরকার। সেখানে সভা করার পরে, তিনি দলীয় কর্মীদের নিয়ে রানিবাঁধে ‘নিহত’ বিজেপি কর্মী অজিত মুর্মুর বাড়ির উদ্দেশে রওনা দেন। বিকেল ৪টে নাগাদ হলুদকানালি গ্রামের রাস্তায় সুভাষবাবু, বিজেপির বাঁকুড়া জেলা সাংগঠনিক সভাপতি বিবেকানন্দ পাত্র এবং দলের কর্মীদের পথ আটকায় পুলিশ। পুলিশকর্মীদের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয় তাঁদের। রাস্তায় বসে পড়েন সুভাষবাবু-সহ দলের অন্য নেতা ও কর্মীরা। প্রায় এক ঘণ্টা পরে, বিকেল ৫টা নাগাদ হলুদকানালি থেকে অন্য পথ দিয়ে রাইপুরের দিকে চলে যান তাঁরা।
কেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর পথ আটকানো হল, জানতে চাওয়ায় এসডিপিও (খাতড়া) কাশীনাথ মিস্ত্রি বলেন, ‘‘রাস্তাটি জঙ্গলঘেরা। সে কারণেই ওই রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময়ে পুলিশ তাঁদের বাধা দেয়। তাতে সামান্য ঝামেলা হয়েছে। পরে, তাঁরা সেখান থেকে উঠে চলে গিয়েছেন।’’ যদিও বিবেকানন্দবাবুর দাবি, ‘‘পুলিশ পথ আটকানোর কারণ জানাতে পারেনি। আসলে ওরা দলদাস হয়ে গিয়েছে। এক কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর পথ আটকে কাজ দেখাতে চাইছে পুলিশ।’’ পুলিশের তরফে এ নিয়ে পাল্টা কোনও প্রতিক্রিয়া দেওয়া হয়নি।
এ বিষয়ে বাঁকুড়া জেলা তৃণমূল সভাপতি দিব্যেন্দু সিংহ মহাপাত্রের বক্তব্য, ‘‘ওরা কোনও নিয়মনীতি মানে না। আইনের পথে হাঁটতে গেলে গায়ে জ্বালা ধরে ওদের।’’
খাতড়ার কর্মসূচিতে এ দিন সুভাষবাবুর দাবি, ‘‘তালিবানদের মতোই হিংসা চালাচ্ছে রাজ্যের শাসকদল।’’ তাঁর অভিযোগ, ‘‘ভোট-পরবর্তী হিংসায় রাজ্যে প্রচুর মানুষের ঘরবাড়ি ভেঙে দেওয়া হয়েছে। জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে।’’ সুভাষবাবুর এই মন্তব্যের সমালোচনা করে দিব্যেন্দুবাবুর পাল্টা, ‘‘আগে, মানুষের সমর্থন নিয়ে ক্ষমতায় এসে দেখান। তার পরে এ ধরনের কথা বলবেন।’’ তাঁর সংযোজন, ‘‘বিপুল জনসমর্থন নিয়ে তৃতীয় বার ক্ষমতায় এসেছে তৃণমূল সরকার। সাধারণ মানুষ বিজেপিকে ছুড়ে ফেলে দিয়েছে। সে কারণেই এ সব মন্তব্য করছেন উনি।’’
বাঁকুড়া শহর থেকে এ দিন বিজেপির ‘শহিদ সম্মানযাত্রা’ শুরু হয়। ইঁদপুরের বাংলা জয়েন্ট মোড়ে দলীয় কর্মীদের সঙ্গে সিধো-কানহুর মূর্তিতে মাল্যদান করেন সুভাযবাবু। সেখান থেকে হিড়বাঁধের হাতিরামপুর হয়ে দুপুর ১২টা নাগাদ খাতড়া পৌঁছন তিনি। সঙ্গে ছিলেন ছাতনার বিধায়ক সত্যনারায়ণ মুখোপাধ্যায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy