নির্বানের আগে বার উত্তেজনা বার অ্যাসোসিয়েশনে। — নিজস্ব চিত্র।
১৪৪ বছরের ‘প্রথা’ ভাঙল। বার অ্যাসোসিয়েশনের পদাধিকারীদের আলোচনার মাধ্যমে নির্বাচনের ‘প্রথা’ ভেঙে এই প্রথম ভোটাভুটির মাধ্যমে নির্বাচন হল বিষ্ণুপুরে। সোমবার যা নানা দিক থেকে তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে থাকল। ভোটদানের সময় গোড়ার দিকে উত্তেজনা ছড়ালেও পরে ভোটগ্রহণ পর্ব শান্তিতেই মেটে। সাতটি আসনের মধ্যে চারটি তৃণমূল মনোনীত, দু’টি সিপিএম মনোনীত ও একটি বিজেপি মনোনীত প্রার্থীরা জেতেন। তৃণমূলের চার জনের মধ্যে দু’জন বিক্ষুব্ধ তৃণমূল বলে আইনজীবীদের দাবি।
সাত আসনের বার কাউন্সিলের নির্বাচনের জন্য মোট ২৫ জন মনোনয়নপত্র জমা দেন। তার মধ্যে সিপিএম মনোনীত পাঁচ জন, বিজেপি মনোনীত দু’জন, কংগ্রেস মনোনীত এক জন এবং তৃণমূল মনোনীত সাত জন। বাকিরা বিক্ষুব্ধ তৃণমূল বলে দাবি করছেন আইনজীবীদের একাংশ। যদিও তৃণমূলের তরফে তা অস্বীকার করা হয়েছে।
এ দিন বিষ্ণুপুর বার অ্যাসোসিয়েশনের ৭৬ জন সদস্য গোপন ব্যালট পেপারে ভোট দেন। কিন্তু সদস্যদের একাংশ কাকে ভোট দেওয়া হচ্ছে, মোবাইল ফোনে সেই ছবি তোলার দাবি করলে অন্যেরা প্রতিবাদ করেন। শুরু হয় হট্টগোল। মোবাইল ফোনে ছবি তোলা হলে ভোট বয়কট করার দাবি জানান আইনজীবীদের একাংশ। শেষমেশ ছবি তোলার প্রস্তাব বাতিল হয়।
কেন এতদিন বিষ্ণুপুর বার অ্যাসোসিয়েশনে নির্বাচন হয়নি? বিষ্ণুপুর বার কাউন্সিলের বিদায়ী সভাপতি রবিদুলাল ঘোষ বলেন, ‘‘এতদিন সদস্যদের মনোনীত আইনজীবীদের নিয়েই কমিটি গঠিত হত। সেটাই চল হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু নির্বাচিত বার কাউন্সিল না থাকায় প্রশাসনিক অসুবিধার মুখে পড়তে হচ্ছিল। তাছাড়া বিভিন্ন মতাদর্শের সদস্যেরা থাকায় নির্বাচনের প্রয়োজন হয়ে পড়েছিল। তাই ১৪৪ বছর পরে নির্বাচন হল।’’
এ দিন নির্বাচনে সর্বোচ্চ ভোট পেয়েছেন মনোদীপ্ত চৌধুরী। তাঁর প্রাপ্ত ভোট ৪৩। অন্যান্য জয়ী প্রার্থীরা হলেন জয়দীপ রাহা, রঘুনাথ চক্রবর্তী, সুপর্ণা কোলে, আশিসকুমার দে, গৌরিপদ বিশ্বাস ও শঙ্খজিৎ রায়।
তৃণমূলের প্রচারিত প্রার্থী তালিকায় নাম না থাকলেও জয়ী হন রঘুনাথ ও সুপর্ণা। রঘুনাথের দাবি, ‘‘আমি তৃণমূল করলেও রবিবার দলের তরফে যে সাত প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়, সেখানে আমার নাম ছিল না। তবে আমি আগেই ব্যক্তিগত ভাবে মনোনয়ন দিয়েছিলাম।’’ তবে তৃণমূল লিগ্যাল সেলের সদস্য আশিস দে দাবি করেন, ‘‘আমাদের ‘অফিসিয়াল প্যানেল’ পরবর্তী সময় প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। কাজেই বার কাউন্সিলের তৃণমূলই সংখ্যাগরিষ্ঠ থাকছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy