ভাল কাজ করার জন্য ২টি পঞ্চায়েত, ১ টি পঞ্চায়েত সমিতি-সহ জাতীয় পুরস্কার পেতে চলেছে বীরভূম জেলা পরিষদ। স্বভাবতই জেলা প্রশাসনে বইছে এখন খুশির হাওয়া। জেলা পরিষদের সভাধিপতি বিকাশ রায়চৌধুরী বলেন, ‘‘পুরস্কার বড় কথা নয়, আমরা মানুষের সার্বিক উন্নয়নের কথা মাথায় রেখে কাজ করি। তবে সেই কাজের স্বীকৃতি মিললে কাজ করার অনুপ্রেরণা আরও বাড়ে।’’
প্রশাসন সূত্রে খবর, প্রতিবছর ভাল কাজ করার জন্য প্রতিটি রাজ্যের একটি জেলা পরিষদ, ২টি পঞ্চায়েত সমিতি এবং ৬টি গ্রাম পঞ্চায়েতকে পুরস্কৃত করে কেন্দ্র। নিয়মানুযায়ী, গ্রাম সংসদ সভা আহ্বান থেকে শুরু করে রাস্তাঘাট, পানীয়জল-সহ সার্বিক উন্নয়নের নথি-সহ অনলাইনে আবেদন করতে হয় ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েতগুলিকে। সেই আবেদন খতিয়ে দেখে পঞ্চায়েতের ক্ষেত্রে ব্লক, পঞ্চায়েত সমিতির ক্ষেত্রে জেলা এবং জেলা পরিষদের রাজ্য প্রশাসনের একটি নির্বাচক কমিটি মান অনুযায়ী প্রতিটি কাজের জন্য নির্ধারিত নম্বর দেয়। ওই নম্বরের সঙ্গে যোগ হয় সংস্থাগুলির কর্মতৎপরতার জন্য কমিটির হাতে থাকা কিছু নম্বরও। তারপর স্তর অনুযায়ী ধাপে ধাপে তা পাঠানো হয় কেন্দ্রীয় স্তরে। কেন্দ্র সরকারের তদন্তকারী দল পর্যবেক্ষণ করে রিপোর্ট দাখিলের পরে পুরস্কারের জন্য নাম ঘোষিত হয়। তা এখন কেবল মাত্র সময়ের অপেক্ষা বলে মনে করেছেন জেলা প্রশাসনের একাংশ।
রাজ্য থেকে কেন্দ্রের কাছে যে ৬টি পঞ্চায়েতের নাম পাঠানো হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে বীরভূমের রাজনগর এবং ইলামবাজার পঞ্চায়েতের নাম। দুটি পঞ্চায়েত সমিতির মধ্য রয়েছে ময়ূরেশ্বর ১ নং পঞ্চায়েত সমিতি। রাজ্যের একমাত্র জেলা পরিষদ হিসাবে পাঠানো হয়েছে বীরভূমের নাম। প্রসঙ্গত, গত বছর জেলার খয়রাশোল, দমদমা, চিনপাই এবং দাঁড়কা পঞ্চায়েত জাতীয় পুরস্কার পেয়েছিল। স্বভাবতই জেলা প্রশাসনে এখন খুশির হাওয়া।
কী বলছেন জেলার একমাত্র সম্ভাব্য পুরস্কার প্রাপ্ত পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ধীরেন্দ্রমোহন বন্দ্যোপাধ্যায়?
এর আগেও স্থানীয় মল্লারপুর ১ নং পঞ্চায়েতের প্রধান থাকাকালীন ধীরেনবাবু ৪ বার পুরস্কার নিয়ে এসেছেন দিল্লি থেকে। তিনি বলেন, ‘‘কী ভাবে সার্বিক গ্রামোন্নয়ন করতে হয় তার প্রমাণ আমরা পঞ্চায়েত স্তরেরই দিয়েছি। পঞ্চায়েত সমিতিতেও সেই ধারা বজায় রাখার লক্ষ্যে কাজ করেছিলাম। তা যে রাজ্যের দুটি পঞ্চায়েত সমিতির মধ্যে একটির স্থান দখল করে নিতে পারবে তা ভাবিনি। কর্মপ্রেরণা বহু গুণে বেড়ে গেল।’’ জেলা পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ণ আধিকারিক মানস মণ্ডল বলেন, ‘‘জানুয়ারী মাসের প্রথম দিকেই সব কিছু খতিয়ে দেখতে কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক দল জেলায় আসবেন। যেসব সংস্থার নাম রাজ্যের পক্ষ থেকে পাঠানো হয়েছে তারা সত্যিই ভালো কাজ করেছে। তাই তারা পুরস্কার পাচ্ছে এটা আশা করাই যায়।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy