বিশ্ব পরিবেশ দিবসে তাঁতিপাড়া নবকিশোর বিদ্যানিকেতন চত্বরে বৃক্ষরোপণের পরে জল দিচ্ছেন জেলা জজ আরতি শর্মা (রায়)। সঙ্গে রয়েছেন বনাধিকারিকরা। নিজস্ব চিত্র
মাত্রাতিরিক্ত দূষণ এবং সবুজায়নে ঘাটতিই বিশ্বজুড়ে মানুষের বাসযোগ্য পরিবেশের উপরে আঘাত হেনেছে। পরিবেশবিদদের মতে বিশ্ব উষ্ণায়ন, আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনা, বৃষ্টিপাতের ঘটতি, তীব্র জলসঙ্কট সেই আঘাতের ইঙ্গিত। জেলায় বৃক্ষরোপণ-সহ নানা কর্মসূচির মাধ্যমে সোমবার বিশ্ব পরিবেশ দিবস উদ্যাপন সঙ্গে পরিবশে বাঁচাতে আশু কর্তব্য কী সেটাই মনে করানো হল পড়ুয়া-সহ অন্যদের।
বীরভূম বনবিভাগের রাজনগর রেঞ্জের উদ্যোগে এ দিন বিশ্বপরিবেশ দিবস উপলক্ষে বড় অনুষ্ঠানটি হয় তাঁতিপাড়া নবকিশোর বিদ্যানিকেতন প্রাঙ্গণে। উপস্থিত ছিলেন জেলা জজ আরতি শর্মা (রায়), ছিলেন দক্ষিণ পূর্ব চক্রের মুখ্যবনপাল বিদ্যুৎ সরকার, বীরভূমের বিভাগীয় বনাধিকারিক দেবাশিস মহিমাপ্রসাদ মহান্তি, সহ বনাধিকারিক শ্রীকান্ত ঘোষ , রেঞ্জার কুদরতে খোদা, প্রধান শিক্ষক সুবীর ঘোষ-সহ বিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং পড়ুয়ারা।
দীর্ঘ গরমের ছুটির পরে এ দিন থেকে সামার ক্যাম্প শুরু হয়েছে জেলার বিভিন্ন স্কুলে। তাঁতিপাড়া স্কুলে পরিবেশ রক্ষার বার্তা দিয়েই সেটা শুরু হল। জেলাজজ পুড়ুয়াদের বোঝালেন এ বার বিশ্ব পরিবেশ দিবসের থিম ভূমি পুনরুদ্ধার, মরুকরণ এবং খরা প্রতিরোধ সম্পর্কে। কেন ভূমি সংস্কার বা পুনরুদ্ধার জরুরি সে ব্যাপারে ধারণা দেওয়ার পাশাপাশি পুড়ুয়াদের জল বাঁচাতে এবং একবার ব্যবহার্য প্লাস্টিক ব্যবহার বন্ধের কথা বলেন।
মুখ্যবনপাল, পড়ুয়াদের বললেন, ‘‘জীবনকে বাঁচিয়ে রাখতে হলে পৃথিবী সবুজ করতে হবে। এই দিনটিকে পালন করা দরকার। কারণ, এখন সে ভাবে আমরা পরিবেশের প্রতি সচেতন হতে পারিনি। সবাই জানি গাছ লাগাতে, জমি সংরক্ষণ করতে হবে, জল সংরক্ষণ করতে হবে। বায়ু দূষণ বন্ধ করতে হবে। কিন্তু বাস্তবে তার প্রতিফলন দেখতে পাচ্ছি না।’’ খুব স্বল্প পরিসরে হলেও পড়ুয়াদেরও প্রকৃতির প্রতি যে কর্তব্য রয়েছে, সে় কথা স্মরণ করিয়ে দেন ডিএফও। তার পরে বিদ্যালয় চত্বরে বেশ কয়েকটি বৃক্ষরোপণ করেন অতিথিরা। বড়দের থেকে অনেক কিছু শিখলাম জানিয়েছে ওই বিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা।
সবুজায়নের লক্ষ্যে ও বিশ্ব উষ্ণায়ন থেকে বাঁচতে সিউড়ির একটি বেসরকারি কলেজে বৃক্ষরোপণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে সিউড়ির একটি গাছপ্রেমী গ্রুপ। সিউড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যলায়ের পক্ষ থেকে বিশ্ব পরিবেশ দিবস সম্পর্কিত একটি পথ পরিক্রমা আয়োজিত হয়। নাম দেওয়া হয়েছিল গ্রিন র্যালি। অংশ নিয়েছিলেন বিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষিকা ও পড়ুয়ারা। রামপুরহাট থানার মাড়গ্রাম থানার উদ্যোগে স্থানীয় উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ে ২০টি গাছ লাগানো হয়। খয়রাশোলে ‘জল জীবন মিশনের’ পক্ষ থেকে পরিবেশ সচেতনতায় এবং জলের অপচয়ে বন্ধে একটি নাটিকা আয়োজিত হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy