Advertisement
১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪
Suri Sadar Hospital

সদর হাসপাতালের সুরক্ষা, নানা পরামর্শ পুলিশ কর্তার

নিরাপত্তা সংক্রান্ত একাধিক বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে সিউড়ি সদর হাসপাতালের সুপারকে জানালেন বীরভূমের জেলা পুলিশ সুপার।

সিউড়ি সদর হাসপাতালে জেলার পুলিশ সুপার রাজনারায়ণ মুখোপাধ্যায়।

সিউড়ি সদর হাসপাতালে জেলার পুলিশ সুপার রাজনারায়ণ মুখোপাধ্যায়। নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
সিউড়ি শেষ আপডেট: ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০৬:৪৯
Share: Save:

আর জি কর-কাণ্ডের পরে হাসপাতালে ডাক্তারদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সুপ্রিম কোর্ট ডাক্তারদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে রাজ্যকে নির্দেশ দিয়েছে। রাজ্যের প্রতিটি জেলার জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারকে হাসপাতালের নিরাপত্তা খতিয়ে দেখতেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই প্রেক্ষিতেই শতাধিক নতুন নজর ক্যামেরা লাগানো, বেসরকারি নিরাপত্তা কর্মীদের বিশেষ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা, হাসপাতাল চত্বরে পর্যাপ্ত আলো-সহ নিরাপত্তা সংক্রান্ত একাধিক বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে সিউড়ি সদর হাসপাতালের সুপারকে জানালেন বীরভূমের জেলা পুলিশ সুপার। পাশাপাশি, হাসপাতালের ভিতরে ভিড় নিয়ন্ত্রণ করতেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এ দিন সিউড়ি সদর হাসপাতালে আসেন জেলা পুলিশ সুপার রাজনারায়ণ মুখোপাধ্যায়। তার সঙ্গে ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পরাগ ঘোষ, ডিএসপি (আইনশৃঙ্খলা) আখতার আলি, সিউড়ি থানার আইসি দেবাশিস ঘোষ প্রমুখেরা। হাসপাতালে ঢুকেই এ দিন সরাসরি হাসপাতাল সুপার নীলাঞ্জন মণ্ডলের সঙ্গে দেখা করতে যান তাঁরা। সেখানে প্রায় ঘণ্টাখানেক আলোচনা ধরে চলে। আলোচনার শেষে জেলা পুলিশ সুপার বলেন, “হাসপাতালের সার্বিক নিরাপত্তার বিষয়টি নিয়েই আলোচনা হয়েছে। নজর-ক্যামেরা, আলো, হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্প, পুলিশ কর্মীর সংখ্যা বৃদ্ধি-সহ নানা বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। শতাধিক নতুন নজর ক্যামেরা লাগানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। হাসপাতালের কিছু জায়গায় আলোর সংখ্যা কম আছে, সেগুলি আমরা জানিয়েছি। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে দ্রুত আলো লাগানোর কথা জানিয়েছেন। পুলিশ ক্যাম্পে ইতিমধ্যেই কর্মীর সংখ্যা বাড়িয়ে এক জন আধিকারিক ও ১৪ জন কনস্টেবল করা হয়েছে। হাসপাতালের বেসরকারি নিরাপত্তা কর্মীদেরও আমরা প্রশিক্ষণ দেব।”

হাসপাতালের সুপার বলেন, “হাসপাতালে নিরাপত্তার কী কী রয়েছে এবং কী কী বিষয়ের অভাব আছে, তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আমরা রোগীর আত্মীয়দের নিয়ন্ত্রণের দিকটিকে বিশেষ জোর দিয়েছি। আমরা ১৩০টি নতুন নজর ক্যামেরা লাগানোর যে প্রস্তাব দিয়েছি, তার কথাও জানিয়েছি। হাসপাতালের গাড়ি, অ্যাম্বুল্যান্স চালকদের তালিকাও যাতে পুলিশের কাছে রাখা হয়, সে বিষয়ে অনুরোধ করা হয়েছে। পুলিশ ক্যাম্পে নতুন তিন জন লেডি কনস্টেবল দেওয়া হয়েছে। তাঁদের বসার বা থাকার জন্য একটা ব্যবস্থা করার অনুরোধ ছিল পুলিশের তরফে। সে বিষয়টাও আমরা দেখছি।” সুপার আরও বলেন, “রাজ্যের তরফে একটি নির্দেশিকা জেলা পুলিশ সুপার মারফত আমাদের কাছে এসেছে। সেখানে বলা হয়েছে, হাসপাতালে ঢোকা ও বেরনোর সময় প্রত্যেকের নাম, ঠিকানা লিখে রাখতে হবে। তবে একটি ব্যস্ত হাসপাতালে তা কতটা সম্ভব তা নিয়ে কিছুটা সংশয় আছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

police super Suri
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE