চশমা, রোদচশমা খুব যত্ন করে ব্যবহার না করলে তার কাচে স্ক্র্যাচ পড়ে যায়। ধুলোয় ফেলে রাখলে, সামান্য ঘষাঘষিতে বা অযত্নে তা খোলা-পরা করলে অতিসূক্ষ্ম দাগ, ফাটল তৈরি হয় চশমা এবং রোদচশমার কাচ বা ফাইবারে। সেই স্ক্র্যাচ কি তোলা যায়?
কারও কারও দাবি, এটা সম্ভব। মাজন, বেকিং সোডা কাজে লাগিয়ে সূক্ষ্ম স্ক্র্যাচ ঠিক করা সম্ভব। সমাজমাধ্যমে এমন বহু ভিডিয়ো ছড়িয়ে রয়েছে। কী সেই কৌশল?
১.বেকিং সোডা জলে গুলে ঘন মিশ্রণ দাগ পড়া রোদচশমার উপর লাগিয়ে দিতে হবে। তার পর মাইক্রোফাইবার ক্লথের সাহায্যে ঘষে জলে ধুয়ে নিতে হবে। পরিষ্কার হয়ে যাবে দাগ।
আরও পড়ুন:
২. ঘষে যাওয়া, বা দাগ হওয়া রোদচশমার কাচ বা ফাইবারে দাঁতের মাজন লাগিয়ে হালকা ঘষে ধুয়ে দিলেও স্ক্র্যাচ উধাও হবে।
৩. স্ক্র্যাচ হওয়া কাচে সানস্ক্রিন লাগিয়ে হালকা ঘষে ধুয়ে ফেললেও দাগ চলে যায়।
তবে চশমা শিল্পের সঙ্গে যুক্ত অনেকেরই মত, এগুলি এক ধরনের মিথ বা ভ্রান্ত ধারণা। বরং স্ক্র্যাচ ঠিক করতে যাওয়ার টোটকায় ক্ষতি হতে পারে দামি লেন্সের। তাঁদের বক্তব্য, স্ক্র্যাচ হওয়ার পরে নয়, যত্ন প্রয়োজন শুরু থেকেই। স্ক্র্যাচ কী ভাবে আটকানো যায়, সেটি মাথায় রাখা দরকার।
স্ক্র্যাচ থেকে সুরক্ষা কী ভাবে?
১. রোদচশমা কেনার সময় বা তাতে পাওয়ার বসানোর সময় স্ক্র্যাচ আটকানোর জন্য ভাল কোনও আস্তরণ দিতে পারেন। স্ক্র্যাচ রেজ়িস্ট্যান্ট কোটিং এ ক্ষেত্রে বিশেষ কার্যকর হতে পারে।
২. মাইক্রোফাইবার ক্লথ দিয়ে নিয়মিত চশমা পরিষ্কার করে নিন। মাঝেমধ্যে লেন্স পরিষ্কার করার নির্দিষ্ট দ্রবণ ব্যবহার করতে পারেন। এতেও রোদচশমা ভাল থাকবে।
৩. যে কোনও জায়গায়, ধুলোয় খোলা অবস্থায় রোদচশমা রেখে দিলে দাগ বা স্ক্র্যাচ পড়তে বাধ্য। তাই রোদচশমা ব্যবহারের পর তা সাবধানে এবং সঠিক স্থানে রাখা দরকার।