সিউড়িতে বিমান বসু। —নিজস্ব চিত্র।
জামিন পেয়ে জেল থেকে বীরভূমে ফিরে এলেও অনুব্রত মণ্ডলের ‘মন ভেঙে যেতে পারে’ বলে মনে করেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু। রবিবার সিউড়িতে বীরভূমের প্রাক্তন সিপিএম বিধায়ক ব্রজমোহন মুখোপাধ্যায়ের স্মরণসভায় যোগ দেন বিমান। দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারকে বেঁধেন তিনি।
এ দিন সিউড়ির ইন্ডোর স্টেডিয়ামে আয়োজিত হয় প্রয়াত সিপিএম নেতা তথা প্রাক্তন জেলা পরিষদের সভাধিপতি ব্রজমোহন মুখোপাধ্যায়ের স্মরণসভা। মঞ্চ থেকে ব্রজ মুখোপাধ্যায়ের জীবন ও আচরণের সঙ্গে তুলনা করে রাজ্য ও কেন্দ্রের বর্তমান সরকারকে বেঁধেন বিমান। তাঁর অভিযোগ, ‘‘ধর্ম, জাত, রাজনৈতিক পরিচয়, আর্থিক অবস্থান সবকিছুর উপর ভিত্তি করেই রাজ্য ও কেন্দ্র বিভাজনের রাজনীতি করছে।’’
স্মরণসভার শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে অনুব্রত মণ্ডলের জামিন পাওয়া প্রসঙ্গে মুখ খোলেন বিমান। তিনি বলেন, “জামিন মঞ্জুর হয়েছে মানেই মামলা শেষ হয়ে গিয়েছে এমনটা নয়। জামিন হবে এ কথা তো রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী আগেই বলে দিয়েছিলেন।” একই সঙ্গে তিনি বলেন, “কেন জামিন হল সে বিষয়ে পুরোটা না জেনে এখনই কিছু মন্তব্য করা ঠিক হবে না।” অনুব্রতকে কটাক্ষ করে বিমান বসু বলেন, “দু'বছর জেলে থাকার পর কেউ তো আর একই রকম থাকে না। যাঁরা আদর্শের ভিত্তিতে জেলে যান, তাঁরা অবিচলিত থাকেন৷ কিন্তু যাঁরা বিশেষ বিশেষ কারণে জেলে যান, তাঁরা একই রকম থাকেন না। তাঁদের মনটা ভেঙে যায়।”
মেডিক্যাল কলেজগুলিতে হুমকি সংস্কৃতির বিরুদ্ধে জুনিয়র ডাক্তারদের সরব হওয়াকে সাধুবাদ জানিয়েছেন তিনি। তাঁর অভিযোগ, ‘‘রেশনের ক্ষেত্রে যেমন দুর্নীতি হয়েছে, লটারি টিকিটের ক্ষেত্রে যেমন দুর্নীতি হয়েছে, স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রেও তেমনই দুর্নীতি চলছে।’’ তিনি বলেন, “উত্তরবঙ্গ লবি, অন্য লবি— এ সব তৈরি করা। চক্রান্তের জাল বিস্তার করার জন্য, দুর্নীতির আখড়া বসানোর জন্য এগুলো তৈরি করা হয়।”
বিমান বসুর মন্তব্য প্রসঙ্গে তৃণমূলের জেলা সহ সভাপতি মলয় মুখোপাধ্যায় বলেন, “অনুব্রত মণ্ডল ফিরলে কর্মীদের মনোবল আরও বাড়বে। স্বাভাবিকভাবেই তাঁর ফেরার খবর পেয়ে বিরোধীরা আতঙ্কিত। সমস্ত অপপ্রচারের জবাব মানুষকে সঙ্গে নিয়ে অনুব্রত নিজেই দেবেন।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy