পুজো: গ্রামের সেই মন্দিরে ভক্তদের ভিড়। নিজস্ব চিত্র
গ্রামে দুর্গা, সরস্বতী, কালী-সহ সব রকম পুজোরই আয়োজন হয়। রয়েছে ওই সব পুজো ঘিরে আনন্দের আতিশয্যও। কিন্তু নানুরের বালিয়ারা গ্রামে সব কিছুকে ছাপিয়ে যায় বুড়োশিবের পুজো উপলক্ষে গাজনের উৎসব। শুধু ওই গ্রামই নয়, সংলগ্ন আরও ৫-৭টি গ্রাম মেতে ওঠে ওই উৎসবে। তাই সর্বজনীনতার ছোঁয়া লাগে গাজনের উৎসবে। এ বারও তার অন্যথা হয়নি। সোমবার থেকেই শুরু হচ্ছে উৎসব। তাই সকাল থেকেই আত্মীয় পরিজনদের আনাগোনায় সরগরম হয়ে উঠেছে গ্রাম।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দীর্ঘ দিন ধরেই বুড়ো শিবের পুজো উপলক্ষে ওই গ্রামে গাজনের উৎসব প্রচলিত রয়েছে। সেই উৎসব অন্যমাত্রা পায় বছর চারেক আগে। সেই বছরই নতুন সুদৃশ্য শিবের মন্দির উদ্বোধন হয় ঘটা করে। সেই আড়ম্বর আর বন্ধ হয়নি। এ বারও পাঁচ দিনের উৎসব ঘিরে রয়েছে বাউল, বোলান, পঞ্চরস, রায়বেঁশে, কলকাতার একটি দলের যাত্রা-সহ বিভিন্ন অনুষ্ঠান। উৎসবে বসেছে মেলাও। গ্রামের প্রতিটি বাড়িতেই কার্যত উপচে পড়ছে আত্মীয়স্বজনদের ভিড়।
দীর্ঘ দিন আগে মুর্শিদাবাদের টিঁয়া গ্রামে বিয়ে হয়েছে কৃষ্ণা মণ্ডলের, মল্লারপুরে বিয়ে হয়েছে রেখা ঘোষের। তাঁরা বলেন, ‘‘আমরা সাধারণত বছরে দু’বার বাপের বাড়ি আসি। এক বার ভাইফোঁটায় আর এক বার এই গাজনে। কারণ শ্বশুরবাড়ি এলাকায় দুর্গাপুজো আছে। কিন্তু গাজন নেই। ছোট থেকেই আমরা গাজনে আনন্দ করছি। তাই আনন্দের টানেই এখনও ছুটে আসি।’’
লাগোয়া কড়েয়ার সুভাষ ভৌমিক, দেবগ্রামের বাসিন্দা তথা নানুর পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি মধুসূদন পালরা জানান, তাঁরাও দীর্ঘ দিন ধরে ওই গ্রামের গাজন উৎসবে সামিল হন। এই গাজন তাঁদের কাছে যেন নিজের গ্রামেরই উৎসব। ওই উৎসব কমিটির সভাপতি তথা তৃণমূলের জেলা সম্পাদক অভিজিৎ সিংহ এবং সম্পাদক বিশ্বজিৎ ঘোষ বলেন, ‘‘সর্বজনীনতাই এই উৎসবের বৈশিষ্ট্য। সেটাই ধরে রাখতে চাই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy