হানা: কেটে ফেলা চন্দনগাছ। শান্তিনিকেতনে। নিজস্ব চিত্র
ফের চন্দন গাছ চুরির চেষ্টা হল শান্তিনিকেতনে। পূর্বপল্লির একটি বাড়ির বাগানের চন্দন গাছ কেটে পাচারের চেষ্টা করল দুষ্কৃতীরা। বুধবার গভীর রাতে।
পুলিশ জানায়, পূর্বপল্লির ওই বাড়িটি প্রয়াত জিতেন্দ্রনাথ দত্তগুপ্তের। তার কাছেই বিশ্বভারতীর উপাচার্যে বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর বাড়ি। জিতেন্দ্রবাবুর নাতনি শর্মিষ্ঠা দত্তগুপ্ত বর্তমানে ওই বাড়ির রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে রয়েছেন। কর্মসূত্রে তিনি কলকাতায় থাকেন। মাঝেমধ্যে আসেন শান্তিনিকেতনের ওই বাড়িতে।
পুলিশ জানায়, সেই বাড়ির সামনে তারেরে জালে কিছুটা ঘেরা অংশে কয়েকটি গাছ রয়েছে। তার মধ্যে রয়েছে চন্দন গাছও। বুধবার রাতে দুষ্কৃতীরা বাগানের বেড়া টপকে বাড়িতে ঢুকে গোড়া থেকে চন্দন গাছটি কেটে দেয় বলে অভিযোগ। গাছ কাটার শব্দ পেয়ে বিশ্বভারতীর উপাচার্যের বাংলোয় নিরাপত্তায় মোতায়েন নিরাপত্তারক্ষীরা গেলে গাছের কাটা অংশ ফেলেই পালায় দুষ্কৃতীরা। ঘটনার কিছুক্ষণের মধ্যেই পুরো এলাকা ঘিরে ফেলেন বিশ্বভারতী নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কর্মীরা।
বিশ্বভারতীর ভারপ্রাপ্ত জনসংযোগ আধিকারিক অনির্বাণ সরকার বলেন, ‘‘যে জায়গায় ঘটনাটি ঘটেছে সেটি বিশ্বভারতীর এলাকা নয়। বিশ্বভারতীর নিরাপত্তারক্ষীদের তৎপরতায় গাছ চুরি আটকানো গিয়েছে।’’ পুলিশ জানিয়েছে, তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কিছু বলা যাবে না। এ দিন সকালে গাছ চুরির চেষ্টার খবর পেয়ে বিশ্বভারতীর মুখ্য নিরাপত্তা আধিকারিক সুপ্রিয় গঙ্গ্যোপাধ্যায় ঘটনাস্থলে যান। শান্তিনিকেতন থানার পুলিশ বুধবার রাতেই সেখানে পৌঁছয়।
এর আগেও একাধিক বার চন্দন গাছ চুরির অভিযোগ উঠেছে বিশ্বভারতী চত্বর, শান্তিনিকেতনের বিভইন্ন প্রান্তে। গত ১৯ সেপ্টেম্বর বিশ্বভারতীর রবীন্দ্র ভবন ও মালঞ্চ বাড়িতে দু’টি চন্দন গাছ চুরির চেষ্টা হয়েছিল। গাছের কাটা অংশ উদ্ধার করা গেলেও দুষ্কৃতীদের খোঁজ মেলেনি।
পূর্বপল্লির ওই বাড়ির বর্তমান বাসিন্দা শর্মিষ্ঠাদেবী বলেন, ‘‘উপাচার্যের বাংলোর সামনে যদি এমন ঘটনা ঘটে, তা হলে বাকি এলাকার নিরাপত্তা কোথায়? তবে উপাচার্যের বাংলোর রক্ষীদের তৎপরতাতেই কাঠ পাচার রোখা গিয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy