Advertisement
২৪ অক্টোবর ২০২৪
Rainfall at Khatra

বজ্রাঘাতে মৃত এক, ঝড়ে ক্ষতি

বুধবার রাতে বিষ্ণুপুরের রসিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ডে যান নিয়ন্ত্রণের কাজ করার সময় বজ্রপাতে আহত হলেন এক সিভিক ভলান্টিয়ার। তাঁকে বিষ্ণুপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

ঝড়ে ভেঙে পড়েছে গাছ। চাপা পড়েছে অ্যাম্বুল্যান্স।

ঝড়ে ভেঙে পড়েছে গাছ। চাপা পড়েছে অ্যাম্বুল্যান্স। নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ১৪ জুন ২০২৪ ০৮:৩৮
Share: Save:

প্রবল গরমের মধ্যে দু’দিনের ঝড়-বৃষ্টিতে মৃত্যু হল এক জনের। আহত হলেন এক জন। ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে গাছপালা।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় খাতড়ার গোড়াবাড়ি পঞ্চায়েতের বাগজোবড়া প্রতীক্ষালয়ে বজ্রপাতে মৃত্যু হল এক মহিলার। পুলিশ জানায়, মৃত অঞ্জলি সর্দারের (৩৮) বাড়ি খাতড়ার আমডিহা গ্রামে। বৃষ্টিতে তিনি প্রতীক্ষালয়ে আশ্রয় নিয়েছিলেন। তাঁকে খাতড়া মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। পুলিশ হাসপাতাল থেকে দেহ উদ্ধার করেছে ময়নাতদন্তের জন্য।

এ দিন বোরো ও বরাবাজারে ঝড়ে ভেঙে পড়ে বেশ কিছু গাছপালা। মানবাজার ২ ব্লকের বারি ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র চত্বরে দু’টি গাছ ভেঙে পড়ে। গাছের নীচে চাপা পড়ে একটি অ্যাম্বুল্যান্স। কয়েকটি বাড়ির ছাউনি উড়ে যায়। বারি ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক রবিশেখর কুমার বলেন, ‘‘একটি গাছ দরজায় ভেঙে পড়েছে। আর একটি গাছ বিদ্যুতের খুঁটি-সহ একটি মাতৃযান অ্যাম্বুল্যান্সের উপরে পড়ে। গাড়িটি আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তবে কেউ আহত হননি।’’ পরে গাছ সরিয়ে অ্যাম্বুল্যান্স সরানো হয়। এ দিন বিকেলে বরাবাজারের বামনিডি গ্রামের কাছে চলন্ত একটি ট্রাকে বিদ্যুতের খুঁটি-সহ একটি গাছ হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে। বরাত জোরে বেঁচে যান চালক ও খালাসি। পুলিশ ও বিদুৎ দফতর ও বনকর্মীরা পৌঁছন।

বুধবার রাতে বিষ্ণুপুরের রসিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ডে যান নিয়ন্ত্রণের কাজ করার সময় বজ্রপাতে আহত হলেন এক সিভিক ভলান্টিয়ার। তাঁকে বিষ্ণুপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পুলিশ জানায়, আহত নূরবক্স মণ্ডলের শ্রবণ ক্ষমতা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়েছে। অন্যদিকে বজ্রপাতে বিষ্ণুপুরের কৃষ্ণগঞ্জ কৈলাশতলায় একটি বাড়ির একাংশ ফেটে গিয়েছে। বৈদ্যুতিন সরঞ্জামও নষ্ট হয়েছে।

বুধবার সন্ধ্যায় বড়জোড়ার শীতলায় ডেকোরেটর্সের জিনিস রাখার অস্থায়ী ছাউনির গোডাউনে বাজ পড়ে নষ্ট হয় জিনিসপত্র। ফুচকা বিক্রি করে টাকা জমিয়ে ডেকোরেটর্সের ব্যবসা শুরু করেন গোপাল লাহা। তাঁর দাবি, ‘‘স্কুটার, বর-কনের সিংহাসন, ফুল সাজানোর থাম, বহু ত্রিপল, চেয়ার, টেবিল, বিয়ের মণ্ডপ সজ্জার জিনিসপত্র বাজ পড়ে পুড়ে গিয়েছে।’’ পাশেই কীর্তনের অনুষ্ঠানের জন্য মণ্ডপ তৈরি করছিলেন গোপালের কর্মীরা। তাঁরা রক্ষা পান। ঘটনাস্থলে যান বিধায়ক অলক মুখোপাধ্যায়, সাহারজোড়া পঞ্চায়েতের প্রধান তারাপদ ঘোষ, বড়জোড়া ব্লক তৃণমূল সভাপতি কালীদাস মুখোপাধ্যায় প্রমুখ।

অন্য বিষয়গুলি:

Khatra
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE