তখনও ধরা পড়েনি পলাতক অভিযুক্ত। খোঁজ করছে পুলিশ। — নিজস্ব চিত্র।
পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে পালিয়েও শেষরক্ষা হল না! কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ফের পুলিশের জালে ধরা পড়ল খুন ও ধর্ষণে অভিযুক্ত। মঙ্গলবার দুপুরে বোলপুর মহকুমা হাসপাতাল থেকে ওই অভিযুক্তের পালানোর পরে বিকেলের দিকে আউসগ্রাম থানার সাঁতলা গ্রামের মাঠ থেকে অভিযুক্তকে ধরে ফেলে পুলিশ। তবে এই ঘটনায় পুলিশি নজরদারি নিয়ে উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত রবিন মণ্ডল পূর্ব বর্ধমানের মঙ্গলকোটের যজ্ঞেশ্বরডিহির বাসিন্দা। ২০১৫ সালে তাঁর সঙ্গে বিয়ে হয় নানুর থানার শ্রীকৃষ্ণপুর গ্রামের বাসিন্দা এক মহিলার। অভিযোগ, গত প্রায় এক বছর ধরে স্ত্রীর প্রথম পক্ষের নাবালিকা কন্যাকে ধর্ষণ করে রবিন। এ নিয়ে গত ৮ জুলাই রবিনের সঙ্গে তাঁর স্ত্রীর অশান্তিও হয়। এরপর থেকেই নিখোঁজ হয়ে যান কণিকা। ১২ জুলাই অজয় নদে রবিনের স্ত্রী’র দেহ পাওয়া যায়। এরপরই পুরো ঘটনার তদন্তে নামে নানুর থানার পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, পরিবারের লোকজন ও মৃতার তেরো বছরের নাবালিকা কন্যাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পারে, রবিন তার স্ত্রীকে মেরে গ্রামের পাশে অজয় নদে ফেলে দেয়। এমন গুরুতর অভিযোগেই পুলিশ অভিযুক্ত রবিনকে গ্রেফতার করে। এতদিন জেলে হেফাজতেই ছিল রবিন। মঙ্গলবার সংশোধনাগার থেকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য তাঁকে বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। তখনই পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে পালিয়ে যায় রবিন।
পলাতক রবিনকে ধরতে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বোলপুর) রানা মুখোপাধ্যায় ও এসডিপিও রিকি আগরওয়ালের নেতৃত্বে তিন থানার পুলিশ তন্ন তন্ন করে তল্লাশি শুরু করে। অভিযুক্ত যাতে জেলার বাইরে চলে যেতে না পারে সে জন্য জেলা ও জেলার বাইরের থানা গুলিকেও সতর্ক করা হয়। তারপরই এ দিন বিকেলে আউসগ্রাম থানার সাঁতলা গ্রামে সেখানকার সিভিক ভলেন্টিয়ার ও ভিলেজ পুলিশের তৎপরতায় ছোড়া ফাঁড়ির পুলিশ অভিযুক্তকে ধরে ফেলে। পুলিশের এক কর্তা বলেন, “নানুর, শান্তিনিকেতন, বোলপুর ও ছোড়া ফাঁড়ি পুলিশের যৌথ অভিযানে অভিযুক্তকে ধরে ফেলা যায়।”
তবে পলাতক রবিনের খোঁজ না পাওয়া গেলে তা পুলিশের কাছে বিড়ম্বনার কারণ হয়েও উঠত বলে মনে করছেন অনেকেই। পুলিশ সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার বোলপুর মহকুমা হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় শান্তিনিকেতন পুলিশের তরফে একটি স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করা হয়েছে। এই অভিযোগে বুধবার অভিযুক্তকে বোলপুর আদালতে তোলার কথা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy