প্রতীকী ছবি।
একশো দিনের কাজের প্রকল্পে সেচের খাল সংস্কারে উদ্যোগী হয়েছিল পঞ্চায়েত। অভিযোগ, কাজ না হলেও ওই প্রকল্পে নিযুক্ত কোনও কোনও শ্রমিকের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে জমা পড়ে গিয়েছে মজুরি। এই অভিযোগকে ঘিরে যেমন শোরগোল পড়েছে তৃণমূল পরিচালিত ইঁদপুরের গৌরবাজার পঞ্চায়েত এলাকায়, তেমনই মানুষের ক্ষোভকে হাতিয়ার করে আন্দোলনের সলতে পাকাচ্ছে বিজেপি।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ইঁদপুরের বনকাটা এলাকায় কংসাবতীর মূল খাল থেকে শিবরামপুর গ্রামের জলখাওকি পুকুর পর্যন্ত একটি সেচের খাল কাটা হয়েছিল। ওই খাল দিয়ে শিবরামপুর-সহ গোটা পাঁচেক গ্রামের ৫০০ বিঘা জমিতে সেচের জল যেত। মাটি পড়ে খালটি মজে যাওয়ায় বছর পাঁচেক ধরেই সেচের জল পাচ্ছেন না চাষিরা।
স্থানীয় সূত্রের দাবি, খাল সংস্কারের কাজ শুরু হয়নি। সম্প্রতি কয়েকজন গ্রামবাসী জানতে পারেন, গৌরবাজার পঞ্চায়েতের কয়েকজন ‘জবকার্ড হোল্ডার’-এর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ওই প্রকল্পের টাকা জমা পড়েছে। শিবরামপুরের বাসিন্দা সঞ্জয় ভুঁই, গুরুপদ ঘোষ, অজিত ভুঁইয়ের অভিযোগ, ‘‘একশো দিনের কাজের প্রকল্পের ওয়েবসাইটে গিয়ে দেখতে পাই, কিছু শ্রমিক আমাদের গ্রামের সেচ খালটি সংস্কারের জন্য টাকা পেয়েছেন। কিন্তু সেখানে কাজ হয়নি।’’ এই ঘটনায় ক্ষোভ ছড়িয়েছে। পঞ্চায়েত এবং বিডিও কার্যালয়ে অভিযোগও জামা পড়েছে।
পঞ্চায়েত প্রধান সান্তনা বাউরির প্রতিক্রিয়া, ‘‘মাস তিনেক আগে আমি প্রধানের দায়িত্ব নিয়েছি। আমি দায়িত্বে আসার আগে ওই সেচ খালটি সংস্কারের প্রকল্প নেওয়া হয়েছিল। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, সেখানে কাজ না করেই টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে। অভিযোগটি খতিয়ে দেখছি।’’ তাঁর সংযোজন, ‘‘একশো দিনের কাজের প্রকল্পে পঞ্চায়েতের তরফে সেচখাল সংস্কারের কাজ হাতে নেওয়া হয়েছিল। তবে কাজ কতটা হয়েছে তা আমার জানা নেই।”
বিডিও (ইঁদপুর) মণীশ নন্দী বলেন, “গ্রামবাসী দফতরে অভিযোগ জমা দিয়েছেন কিনা খোঁজ নিয়ে দেখছি।” অভিযোগ খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন একশো দিনের কাজের জেলা আধিকারিক জীবনকৃষ্ণ বিশ্বাস। বিজেপির ইঁদপুরের প্রাক্তন মণ্ডল সভাপতি তথা বিজেপির বাঁকুড়া সাংগঠনিক জেলার বর্তমান সম্পাদক লক্ষণ মণ্ডলের অভিযোগ, “সেচখাল সংস্কারের নামে গৌরবাজার পঞ্চায়েত দুর্নীতি করেছে। আন্দোলনে নামব।” ইঁদপুরের ব্লক তৃণমূল সভাপতি সৌমিত্র পতির মন্তব্য, “পঞ্চায়েত প্রধানের থেকে খোঁজ নিচ্ছি।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy