ইলামবাজারে। নিজস্ব চিত্র।
দলের কাজ করে বাড়ি ফেরার পথে বিজেপি কর্মীদের উপর হামলার অভিযোগ উঠল। বিজেপির দাবি, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই হামলা চালিয়েছে। তৃণমূল অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার থেকে ইলামবাজার এলাকায় প্রচারের কাজ শুরু করেন বিজেপি কর্মীরা। সেই কাজ করে শনিবার সন্ধ্যায় ইলামবাজারের শীর্ষা অঞ্চল থেকে বিজেপি কর্মীরা নিজের নিজের বাড়িতে ফিরছিলেন। হঠাৎই নবগ্রামের কাছে দুষ্কৃতীরা চড়াও হয়ে লাঠি, বাঁশ দিয়ে তাঁদেরকে বেধড়ক মারধর করতে থাকে বলে অভিযোগ। এমনকি এক বিজেপি কর্মীকে তুলে নিয়ে গিয়ে মারধর করা হয় বলেও অভিযোগ। বিজেপির দাবি, ঘটনায় গুরুতর আহত হন বোলপুর বিধানসভার বিজেপি কর্মী অসীম প্রতিহার, অমিত হাজরা, গুণধর মণ্ডল-সহ ৫ জন। আহতদের প্রথমে ইলামবাজার ব্লক প্রাথমিক হাসপাতালে ও পরে তিন জনের শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে শনিবার রাতেই তাদের বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
শনিবার রাতেই হাসপাতালে আহতদের দেখতে যান বিজেপির জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহা। ঘটনাস্থলে যায় ইলামবাজার থানার পুলিশ। ওই এলাকায় পুলিশ পিকেট বসানো হয়েছে। ইলামবাজারের বিজেপির ব্লক সভাপতি চিত্তরঞ্জন সিংহের অভিযোগ, “তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা পরিকল্পনা করে আমাদের কর্মীদের উপরে হামলা চালিয়েছে। এই ঘটনার আমরা তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। পুলিশ প্রশাসনের কাছে আমাদের অনুরোধ, তারা যেন দোষীদের চিহ্নিত করে উপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা করেন।”
পুরো বিষয়টি অস্বীকার করছে তৃণমূল। ইলামবাজারে তৃণমূলের ব্লক সভাপতি ফজলুর রহমান বলেন, “এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূল কোনও ভাবেই জড়িত নয়। ওই কর্মীরা বাইরে থেকে এসেছিলেন গ্রামে। গ্রামবাসীরা তাদের দুষ্কৃতী বলে অনুমান করে এবং সেই থেকেই এই ঘটনা ঘটেছে। তৃণমূলকে বদনাম করার জন্য বিজেপি তৃণমূলের নামে মিথ্যা ভাবে দোষ চাপাচ্ছে। পুলিশ প্রশাসনকে অনুরোধ যাতে নিরপেক্ষ তদন্ত করে দোষী ব্যক্তিদের গ্রেফতার করা হয়।”
রবিবার ইলামবাজার থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে বিজেপি। ঘটনার প্রতিবাদে এ দিন ইলামবাজারে মিছিল ও পথসভা করে বিজেপি। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। এখনও পর্যন্ত তিন জনকে আটক করা হয়েছে। বাকিদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।
কিশোরীর ঝুলন্ত দেহ
তারাপীঠ: বাড়ির ভিতর থেকে এক কিশোরীর ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার করল পুলিশ। পুলিশ জানায়, মৃতার নাম সঙ্গীতা মাল (১৭)। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই কিশোরীর বাড়ি মাড়গ্রাম থানার কার্ত্তিকচুংড়ি গ্রামে হলেও সে তার মামার বাড়ি, তারাপীঠ থানার পাইকপাড়া গ্রামে থাকত। শনিবার দুপুরে সেখান থেকেই তার দেহ উদ্ধার হয়। পুলিশ একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করেছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy