অজ্ঞাতপরিচয় এক মহিলার বস্তাবন্দি দেহ উদ্ধার ঘিরে আবার উত্তেজনা বীরভূমের মহম্মদবাজার থানা এলাকায়। শুক্রবার মা-সহ দুই শিশুর রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয়েছিল বাড়ি থেকে। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই শনিবার মহম্মদবাজার থানা এলাকার ডেউচা জলাধার থেকে এক মহিলার দেহ উদ্ধারের ঘটনায় শোরগোল এলাকায়।
স্থানীয় সূত্রের খবর, শনিবার সকালে ডেউচা জলাধারে একটি বস্তা ভাসতে দেখেন কয়েক জন। সন্দেহ হওয়ায় তাঁরা পুলিশে খবর দেন। পরে পুলিশ গিয়ে বস্তাটি জলাধার থেকে ডাঙায় তোলে। বস্তার মুখ খুলতে দেখা যায়, একটি মহিলার দেহ রয়েছে। তবে দেহ ফুলে যাওয়ায় চিহ্নিত করা যায়নি মহিলাকে। অনুমান করা হচ্ছে, মৃতার বয়স ৪০ বছরের মধ্যে।
মৃতার পরিচয় জানার জন্য আশপাশের থানায় খবর পাঠিয়েছে মহম্মদবাজার থানার পুলিশ। স্থানীয় কোনও মহিলা নিখোঁজ কি না, খোঁজ নেওয়া হচ্ছে। তবে পুলিশের এ-ও অনুমান, ঝাড়খণ্ড থেকেও ভেসে আসতে পারে দেহটি। তদন্ত চলছে।
আরও পড়ুন:
অন্য দিকে, শুক্রবার মহম্মদবাজার থানার ম্যানেজার পাড়া এলাকায় বাড়ি থেকে জনৈকা লক্ষ্মী মাডডি এবং তাঁর দুই সন্তানের দেহ উদ্ধারের ঘটনায় নয়ন বিত্তার নামে এক জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। মৃতার স্বামী লালু মাডডি কাজের সূত্রে বাইরে থাকেন। লক্ষ্মীর সঙ্গে মল্লারপুর থানার বাসিন্দা নয়নের বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল বলে পুলিশ সূত্রের খবর। সম্পর্কের জটিলতা থেকে প্রেমিকা এবং তাঁর দুই সন্তানকে নয়ন খুন করেন বলে মনে করছে পুলিশ। অভিযুক্তকে গা-ঢাকা দিতে সাহায্য করার অভিযোগে সুনীল মিদ্দা নামে এক জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শনিবার নয়ন এবং সুনীলকে হাজির করানো হয় সিউড়ি আদালতে। তদন্তের স্বার্থে ধৃতদের ১৪ দিনের হেফাজতে চায় পুলিশ। তবে সওয়াল-জবাবের পরে বিচারক ৯ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। আগামী ৩ মার্চ আবার অভিযুক্তদের আদালতে হাজির করানো হবে। আদালতের বাইরে পুলিশ ভ্যানে ওঠার সময় ধৃত নয়ন জানান, টাকাপয়সা সংক্রান্ত বিবাদের জেরে তিনি খুন করেছেন লক্ষ্মীকে।