Advertisement
E-Paper

বিক্ষোভের পরের দিনই জমির চেক ৪৩ জনকে

আবদারপুরে বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ ছিল, কয়লা প্রকল্পের ১১ নম্বর লট পর্যন্ত জমি রেজিস্ট্রেশন এবং চাকরির নিয়োগপত্র দেওয়ার প্রক্রিয়া নির্দিষ্ট গতিতে চলছিল।

মহম্মদবাজার ব্লক অফিসে চলছে জমি রেজিস্ট্রি ও চেক বিলির কাজ। শুক্রবার।

মহম্মদবাজার ব্লক অফিসে চলছে জমি রেজিস্ট্রি ও চেক বিলির কাজ। শুক্রবার। নিজস্ব চিত্র ।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ০৭:২৪
Share
Save

ডেউচা-পাঁচামি কয়লা খনি প্রকল্পের সঠিক নিয়ম মেনে জমি রেজিস্ট্রেশন এবং দ্রুত জমিদাতাদের চাকরির নিয়োগের দাবিতে বৃহস্পতিবার সিউড়ির আবদারপুরের কোল ব্লকের প্রজেক্ট অফিসের সামনে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন শতাধিক জমিদাতা। ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রকল্প এলাকার ৪৩ জন জমিদাতার জমি রেজিস্ট্রি করিয়ে তাঁদের হাতে জমির দাম বাবদ চেক তুলে দেওয়া হল।

আবদারপুরে বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ ছিল, কয়লা প্রকল্পের ১১ নম্বর লট পর্যন্ত জমি রেজিস্ট্রেশন এবং চাকরির নিয়োগপত্র দেওয়ার প্রক্রিয়া নির্দিষ্ট গতিতে চলছিল। কিন্তু, ১২ ও ১৩ নম্বর লট থেকে সেই প্রক্রিয়া অনেক ঢিলে হয়ে গিয়েছে। শুক্রবার মহম্মদবাজার ব্লক অফিসে শিবিরের মাধ্যমে সেই ১৩ নম্বর লটেরই ৪৩ জন বাসিন্দার জমি রেজিস্ট্রি করে তাঁদের হাতে প্রাপ্য চেক তুলে দেওয়া হয়। চেক হাতে পেয়ে খুশি তাঁরা। জমিদাতা যতীন মুর্মু, শুভাশিস রজক, আব্দুস শেখরা বলেন, ‘‘আমরা খুব খুশি। আমাদের জমি সরকার রেজিস্ট্রি করে জমির পরিমাণ অনুযায়ী চেক দিয়েছে। আমরা অপেক্ষায় ছিলাম, কবে আমাদের ডাক আসবে।’’ তাঁদের দাবি, তাঁরা শিল্পের পক্ষে। এই কয়লা প্রকল্প হলে বহু মানুষের কর্মসংস্থান হবে।

প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ডেউচা-পাঁচামি কয়লা শিল্পাঞ্চলের যে সব জমিদাতা তাঁদের জমি দেওয়ার জন্য সরকারের কাছে আবেদন জানিয়েছিলেন, তাঁদের মধ্যে ১২ নম্বর লটের বাসিন্দাদের জমির নথি যাচাইয়ের কাজ ডিসেম্বর মাস থেকে শুরু হয়েছে। চার দিনের শিবিরের মাধ্যমে প্রায় ২২৫ জন জমিদাতার জমির নথি যাচাই করা হয়। ওই নথি যাচাই শেষ হওয়ার পরেই ব্লক অফিসে ডেকে জেলা পরিষদের আইনজীবী অসীম কুমার দাসের উপস্থিতিতে সরকারের নামে সব জমি রেজিস্ট্রি করে সেই জমির পরিমাণ অনুযায়ী টাকার চেক তুলে দেওয়া হয়। একই ভাবে এ দিন ব্লক অফিসে শিবিরের মাধ্যমে ১৩ নম্বর লটের জমিদাতাদের ডেকে জমি রেজিস্ট্রি করে চেক তুলে দেওয়া হল।

অসীমকুমার বলেন, ‘‘জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে প্রকল্পের কাজ এগিয়ে চলেছে। চাকরি দেওয়ার পাশাপাশি আবেদনকারীদের জমির নথি যাচাই ও জমি সরকারের নামে রেজিস্ট্রি করার পরেই জমিদাতাদের হাতে চেক তুলে দেওয়া হচ্ছে। আগামী দিনে ফের শিবির করেবাকি জমিদাতাদের জমি রেজিস্ট্রি করে তাঁদের হাতে চেক তুলে দেওয়া হবে।’’

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

mohammadbazar

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

{-- Slick slider script --}}