Advertisement
০৩ নভেম্বর ২০২৪

দুই সাহসিনীকে সম্মান

শুক্রবার কন্যাশ্রী দিবসের অনুষ্ঠানের মঞ্চ থেকে দুই কিশোরী— সুপুরডি গ্রামের অনিতা মাহাতো ও রুচাপ গ্রামের তুষ্ট মাহাতোকে দশ হাজার টাকা করে স্থায়ী আমানতের শংসাপত্র দেওয়া হয়। তবে জেলার অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার জন্য তুষ্ট বলরামপুরের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পারেনি।

স্বীকৃতি: অনিতাকে আমানতের নথি দিচ্ছেন বিডিও পৌষালি চক্রবর্তী। নিজস্ব চিত্র

স্বীকৃতি: অনিতাকে আমানতের নথি দিচ্ছেন বিডিও পৌষালি চক্রবর্তী। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
বলরামপুর শেষ আপডেট: ৩০ জুলাই ২০১৭ ০৯:৪০
Share: Save:

এলাকার দুই সাহসিনীর লড়াইকে সম্মান জানাতে তাদের পুরস্কৃত করল বলরামপুর ব্লক। শুক্রবার কন্যাশ্রী দিবসের অনুষ্ঠানের মঞ্চ থেকে দুই কিশোরী— সুপুরডি গ্রামের অনিতা মাহাতো ও রুচাপ গ্রামের তুষ্ট মাহাতোকে দশ হাজার টাকা করে স্থায়ী আমানতের শংসাপত্র দেওয়া হয়। তবে জেলার অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার জন্য তুষ্ট বলরামপুরের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পারেনি।

প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সুপুরডি গ্রামের দরিদ্র পরিবারের মেয়ে অনিতার দু’টি পা-ই নেই। নেই একটি হাতও। জন্ম থেকেই প্রতিবন্ধী অনিতা লড়াই থেকে সরে আসেনি। এক হাতের তিনটি আঙুল দিয়ে মাটি আঁকড়ে থেকেছে। সে ভাবেই মাধ্যমিক পাশ করে ভর্তি হয়েছে স্থানীয় লালিমতী গার্লস হাইস্কুলে।

রুচাপ গ্রামের তুষ্টর বিয়ে ঠিক হয়েছিল। কিন্তু তার মত ছিল না। বাড়িতে সে কথা জানিয়েও কাজ না হওয়ায় তুষ্ট কয়েকজন বান্ধবীকে নিয়ে সোজা চলে আসে বলরামপুর ব্লক অফিসে। বিডিও-কে এসে সব জানিয়ে সে বলেছিল, ‘‘আমি এখন পড়তে চাই।’’ বাল্য বিবাহের বিরুদ্ধে তার সেই লড়াইকে স্বীকৃতি দিয়েছে জেলা প্রশাসনও।

বিডিও (বলরামপুর) পৌষালি চক্রবর্তী বলেন, ‘‘সুপুরডি গ্রামের মেয়েটি শারীরিক প্রতিবন্ধকতা ও দারিদ্রের সঙ্গে লড়াই করে লেখাপড়া চালিয়ে যাচ্ছে। আর তুষ্ট নিজেই বাল্য বিবাহের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছে। দুই সাহসিনী যাতে ভবিষ্যতে লেখাপড়া চালিয়ে যেতে পারে সে কথা মাথায় রেখেই আমরা কন্যাশ্রী দিবসে দু’জনের নামে দশ হাজার টাকার স্থায়ী আমানত করে দিয়েছি।’’ ওই দু’জনকে ‘কন্যাশ্রী শ্রীতমা সম্মান’-ও দেওয়া হয়েছে বলে জানান পৌষালি।

অন্য বিষয়গুলি:

Kanyashree Divas Award Brave
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE