Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪

জাতীয় সড়কে গাড়ি-ট্রাক্টরে ধাক্কা, মৃত পাঁচ

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন মাড়গ্রামের পরিহারপুরের এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়। তাঁর দেহ তারাপীঠে সৎকার করে একটি ট্রাক্টরে ফিরছিলেন ২৩ জন শ্মশানযাত্রী।

বিনোদপুরে। নিজস্ব চিত্র

বিনোদপুরে। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
রামপুরহাট শেষ আপডেট: ২৪ ডিসেম্বর ২০১৯ ০২:২০
Share: Save:

অন্ধকার জাতীয় সড়কে দুর্ঘটনার বলি হলেন পাঁচজন। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার সন্ধ্যা সাতটা নাগাদ রানিগঞ্জ-মোড়গ্রাম ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কে রামপুরহাটের কাবিলপুর মোড়ের কাছে ট্রাক্টর ও প্রসূতিকে নিয়ে যাওয়া গাড়ির মুখোমুখি ধাক্কা লাগে। ঘটনাস্থলেই দু’জনের মৃত্যু হয়। তিনজন মারা যান হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরপরই। জখমদের মধ্যে আটজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। মৃতদের মধ্যে দুজন কিশোর এবং তিনজন প্রৌঢ়। পুলিশ জানায়, রাত পর্যন্ত পাওয়া পরিচয় অনুযায়ী মৃতদের নাম মৈনুদ্দিন শেখ (১২), তিলক লেট (৬৫) ও হাবল মণ্ডল (৬৫)। মৈনুদ্দিনের বাড়ি মুরারই থানার পলসাতে। বাকি দু’জনের মাড়গ্রাম থানার পরিহারপুরে। এই ঘটনায় মোট ১৬ জন আহত হন। ট্রাক্টর ও গাড়ির মধ্যে দেহগুলি আটকে থাকায় ঘটনাস্থলে দমকল কর্মীরা গিয়ে উদ্ধারকাজ চালান। তাঁদের প্রথমে রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে আটজনকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করানো হয়।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন মাড়গ্রামের পরিহারপুরের এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়। তাঁর দেহ তারাপীঠে সৎকার করে একটি ট্রাক্টরে ফিরছিলেন ২৩ জন শ্মশানযাত্রী। সিঙ্গল লেনের এই জাতীয় সড়কে আলোর ব্যবস্থা নেই। অন্ধকারে গতি বাড়ায় বেশিরভাগ গাড়ি। ফলে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে। বছর খানেক আগে দুরন্ত গতিতে যাওয়ার সময় বাইক ও গাড়ির দুর্ঘটনায় চারজনের মৃত্যু হয়েছিল এখানেই।

স্থানীয়রা জানান, এ দিনও আট সওয়ারিকে নিয়ে দ্রুত গতিতে রামপুরহাট হাসপাতালে যাচ্ছিল একটি গাড়ি। ওই গাড়িতে ছিলেন এক প্রসূতি। সেই সময় যাত্রী বোঝাই ট্রাক্টরটি সামনে চলে আসায় নিয়ন্ত্রণ হারায় গাড়িটি। ট্রাক্টরের উপরে আছড়ে পড়ে প্রবল গতিতে।

দমকল কর্মী দিলীপ দাস বলেন, ‘‘দুর্ঘটনার খবর পেয়েই এলাকায় পৌঁছে ২১ জনকে উদ্ধার করে রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাই। চিকিৎসকেরা দু’জনকে মৃত বলে জানান। তিনজনের চিকিৎসা চলাকালীন মৃত্যু হয়।’’ পলসা গ্রামের বাসিন্দা আহত আবদুর রব বলেন, ‘‘আমার স্ত্রী সুফিয়া খাতুনকে হাসপাতালে ভর্তি করার তাড়া ছিল। স্ত্রী অক্ষত থাকলেও আমার এক ভাই মারা গিয়েছেন। বাকিদের খবর এখনও জানি না।’’ অন্যদিকে, ট্রাক্টরের যাত্রী কাজল লেট বলেন, ‘‘আমার জেঠু নিমাই লেটের মৃতদেহ তারাপীঠে সৎকার করে বাড়ি ফিরছিলাম। আমাদের ট্রাক্টরটি ধীরেই যাচ্ছিল। কাবিলপুর মোড়ের কাছে ট্রাক্টরে সামনে গাড়ি ধাক্কা মারে। ছিটকে অনেকে নীচে পড়ে যান। এত অন্ধকার ছিল যে কিছু ঠাহর হচ্ছিল না।’’

পুলিশ জানিয়েছে, দুটি গাড়িই আটক করা হয়েছে। দেহ পাঁচটিও ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে।

অন্য বিষয়গুলি:

Street Accident Road Accident
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy