লোকশিল্পের প্রচার আর প্রসারের উদ্দ্যেশে তথ্য সংস্কৃতি বিভাগের উদ্যোগে রাজ্যে শুরু হল ‘লোকশিল্পী নথিভুক্তিকরণ শিবির’। জেলা প্রশাসনের দাবি, “বৃহস্পতিবার রাজ্যের প্রথম শিবিরটি হল বোলপুরের গীতাঞ্জলি সংস্কৃতি অঙ্গনে।” হাজির ছিলেন, মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ, তথ্য সংস্কৃতি বিভাগের সচিব সুব্রত মুখোপাধ্যায়, বীরভূম জেলা পরিষদের সভাধিপতি বিকাশ রায় চৌধুরী, তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল প্রমুখ। এ দিনের অনুষ্ঠানে স্বপনবাবু বলেন, “বাউল সাজার ঢং তৈরি হয়েছে এখন। সাজ-পোশাকই মুখ্য। বাউলে নানা ইলেকট্রনিক্স যন্ত্রপাতির ব্যাবহার হচ্ছে। সাধনার পথের অনেকে ধার ধারছেন না। বাউল হয়ে যাচ্ছেন, আমরা কিন্তু তাঁদের সঙ্গে নেই।” কার্যত মন্ত্রী এ দিনের অনুষ্ঠানে তাঁর বক্তব্যে বুঝিয়ে দেন, নকল শিল্পীদের পাশে সরকার নেই। মন্ত্রী বলেন, “বংশ পরম্পরায়, নানা অভাব অনটনের মধ্য দিয়ে যাঁরা এই শিল্পকে আকঁড়ে রেখেছেন এবং বংশানুক্রমিক ভাবে শিল্পের প্রচার এবং প্রসারে অবদান রয়েছে, এমন শিল্পীদের জন্য আমরা আছি।”
বীরভূম জেলা পরিষদের সভাধিপতি বিকাশ রায় চৌধুরী বলেন, “রাজ্যে এই জেলা দিয়ে প্রথম শুরু হল। জেলার প্রায় চার হাজার লোকশিল্পীর নাম নথিভুক্তকরন হয়েছে।” প্রত্যেক শিল্পী মাসে চারটি করে অনুষ্ঠান পাবেন এবং ভাতাও পাবেন এই নথিভুক্তকরনের মাধ্যমে। চারটি অনুষ্ঠানের জন্য চার হাজার টাকা এবং ভাতা বাবদ এক হাজার টাকা নিয়ে মোট পাঁচ হাজার টাকা নথিভুক্ত লোকশিল্পীরা পাবেন।
তথ্য সংস্কৃতি দফতরের সচিব সুব্রত মুখোপাধ্যায় বলেন, “বাউল, ফকির, আদিবাসী নাচ, দরবেশে, ভাদু, টুসু, ছৌ, ঝুমুর, ভাঁওইয়া, মুসলমানি গানের মতো একাধিক লোকগীত, সঙ্গীতের বিষয়গুলি এই প্রকল্পের আওতার মধ্যে পড়ে। এ দিন সন্ধ্যায় গীতাঞ্জলি সংস্কৃতি অঙ্গনে একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করেন জেলার বিভিন্ন প্রান্ত এবং বাইরে থেকে আগত ওই লোকশিল্পীরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy