আমার কুটির পরিদর্শনে নেতাজি। ছবিটি সংস্থার সৌজন্যে প্রাপ্ত।
ছিল স্বাধীনতা সংগ্রামীদের আত্মগোপনের জায়গা। তা-ই হয়ে উঠল রাজ্যের কুটিরশিল্প ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়!
বস্তুত, যত দিন গিয়েছে শান্তিনিকেতনের বল্লভপুর লাগোয়া সেই ‘আমার কুটির’-এর জৌলুস বেড়েছে। ধীরে ধীরে দেশ-বিদেশ থেকে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শান্তিনিকেতন দেখতে আসা পর্যটকদের কাছেও অবশ্য দ্রষ্টব্য স্থানে রূপান্তিরত হয়েছে ‘আমার কুটির’। সম্প্রতি চর্মশিল্পের পাশাপাশি বাটিক-বুটিকের সমাহারে পূর্ণ ‘আমার কুটির’-এর গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হয়ে উঠেছে তার ইতিহাস-সমৃদ্ধ সংগ্রহশালাও। যেখানে মূলত স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রেক্ষাপটে কিছু পুরনো আলোকচিত্র রয়েছে। শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় থেকে সুভাষচন্দ্র বসু তাঁদের ‘আমার কুটির’ পরিদর্শনের সচিত্র বর্ণনা ওই সংগ্রহশালায় রাখা হয়েছে।
বিশিষ্ট স্বাধীনতা সংগ্রামী সুষেণ মুখোপাধ্যায়ের উদ্যোগে গড়ে উঠেছিল এই ‘আমার কুটির’। জেল থেকে মুক্তি পাওয়ার পরে আর এক স্বাধীনতা সংগ্রামী পান্নালাল দাশগুপ্তও এখানে থেকেই সমাজসেবার নানা কাজকর্ম চালিয়ে গিয়েছেন। ‘আমার কুটির’ সোসাইটি ফর রুরাল ডেভলপমেন্ট’-এর সভাপতি আনন্দময় সেন জানান, স্বাধীনতা লাভের আগে আমার কুটির-এর নেতৃত্বে আশপাশ এলাকার বেশ কয়েকটি গ্রামে নৈশ স্কুল, লাঠি চালানো ও তির-ধনুক চালানোর প্রশিক্ষণও দেওয়া হতো। তাঁর কথায়, “রবীন্দ্রনাথ বলেছিলেন, ‘আধুনিক বিদ্যালয় থেকে আদর্শ মানুষ বেরোয় না’। তাঁর সেই কথা স্মরণ রেখেই আমার কুটির সাধারণ মানুষদের নিয়ে নানা কাজ করে চলেছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy