Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪

তিন মাসেও মেলেনি মজুরি, তালা পঞ্চায়েতে

মাস তিনেক হয়ে গেলেও একশো দিনের কাজের প্রাপ্য মজুরি না পেয়ে পঞ্চায়েত প্রধানকে তালাবন্দি করলেন শ্রমিকেরা। ঘটনাটি পুরুলিয়ার জয়পুর ব্লকের বড়গ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েতের। প্রাপ্য মজুরির দাবিতে সোমবার বেলা তিনটে থেকে প্রধান ভারতী মাহাতোকে পঞ্চায়েত অফিসেই তালাবন্দি করে রাখা হয়।

নিজস্ব সংবাদদাতা
জয়পুর শেষ আপডেট: ০১ জুলাই ২০১৪ ০১:৫০
Share: Save:

মাস তিনেক হয়ে গেলেও একশো দিনের কাজের প্রাপ্য মজুরি না পেয়ে পঞ্চায়েত প্রধানকে তালাবন্দি করলেন শ্রমিকেরা। ঘটনাটি পুরুলিয়ার জয়পুর ব্লকের বড়গ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েতের। প্রাপ্য মজুরির দাবিতে সোমবার বেলা তিনটে থেকে প্রধান ভারতী মাহাতোকে পঞ্চায়েত অফিসেই তালাবন্দি করে রাখা হয়।

মাস তিনেক আগে বড়গ্রামে নতুনবাঁধ নামে একটি পুকুর বছরে একশো দিনের কাজের প্রকল্পে সংস্কার করা হয়। ওই প্রকল্পে কর্মরত শ্রমিক বিরিঞ্চি সহিস, আঘনু সহিস, বিনয় সহিস, রেঙ্গু সহিসদের অভিযোগ, “আমরা কাজ করেছি প্রায় তিন মাস হয়ে গেল। এখনও ওই কাজের কোনও মজুরি পাইনি। এর আগে সবাই মিলে এক দিন প্রধানকে ঘেরাও করা হয়েছিল। সেদিন প্রধান আমাদের লিখে দেন, আগামী ১৫ দিনের মধ্যে আমরা মজুরির টাকা পাব। সেই ১৫ দিন পেরিয়ে গেলেও আমরা কাজের পারিশ্রমিক পাইনি।”

এ দিনও পঞ্চায়েত অফিসে হাজির হয়ে শ্রমিকেরা দাবি করেন, অবিলম্বে তাঁদের মজুরির টাকা মিটিয়ে দিতে হবে। কিন্তু, পঞ্চায়েত প্রধানের কাছে থেকে টাকা পাওয়া যাবে না জেনে তাঁরা প্রধানের অফিসের দরজায় তালা ঝুলিয়ে দেন। প্রধান ভারতী মাহাতো বলেন, “আমি তো শ্রমিকদের বলেছি, তাঁদের মজুরির টাকা মিটিয়ে দেওয়া হবে। আসলে এখনও আমাদের কাছে সেই টাকা এসে পৌঁছয়নি। টাকা এলেই প্রাপ্য মজুরি তাঁরা পেয়ে যাবেন। কিন্তু, শ্রমিকরা তা শুনতেই চাইছেন না।” এ দিন পঞ্চায়েতে এই ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ আসে। জয়পুরের বিডিও মেঘনা পাল বলেন, “নতুন একটি পদ্ধতির মাধ্যমে এ বার থেকে একশো দিনের কাজের প্রকল্পে কর্মরত শ্রমিকদের নিজস্ব অ্যাকাউন্টে টাকা পৌঁছবে। এ জন্য সাময়িক ভাবে তাঁদের অ্যাকাউন্ট ‘ফ্রিজ’ (বন্ধ) করতে হয়েছে। সে কাজের জন্য সামান্য সময় লাগছে। শ্রমিকদের সঙ্গে আলোচনার পর তাঁরা ঘেরাও তুলে নিয়েছেন।”

অন্য বিষয়গুলি:

jaypur baragram gram panchayet 100 days work
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE