ছত্রধর মাহাতো
তাঁর রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নেবেন তিনি নিজে। আর তৃণমূলের তরফে এ বিষয়ে একমাত্র কথা বলবেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বয়ং। ছত্রধর মাহাতোর রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ সম্পর্কে এমনই মন্তব্য করলেন রাজ্যের কারিগরী মন্ত্রী পূর্ণেন্দু বসু।
সোমবার বিকেলে ঝাড়গ্রাম ব্লকের মানিকপাড়ায় একটি মেলার উদ্বোধনে এসেছিলেন পূর্ণেন্দু। সেখানে ছত্রধর তৃণমূলে যোগ দেবেন কি না, জানতে চাওয়া হলে পূর্ণেন্দুর জবাব, ‘‘এটা সম্পূর্ণ তাঁর নিজস্ব ব্যাপার।’’ আর ছত্রধর যদি তৃণমূলে যোগ দিতে চান? এ বার পূর্ণেন্দু বলেন, ‘‘এটা আমাদের উপর নির্ভর করবে না। ছত্রধর একটি অতি পরিচিত নাম, সুতরাং তার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবেন স্বয়ং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।’’ রবিবারই লালগড়ের আমলিয়ায় গ্রামের বাড়িতে ফিরেছেন একদা জঙ্গলমহলে জনসাধারণের কমিটির মুখপাত্র ছত্রধর। তৃণমূলে যোগদানের প্রসঙ্গে ছত্রধরকে বলতে শোনা গিয়েছিল, ‘‘কী করব মনস্থির করতে পারিনি। সবে মুক্ত আকাশ দেখতে পেয়েছি। পরিবারের সঙ্গে কয়েকটা দিন কাটাব। তারপর ঠিক করব।’’
ছত্রধর প্রসঙ্গে এ দিন মন্ত্রীকে বলতে শোনা গিয়েছে, ‘‘ছত্রধরকে অনেকদিন ধরে চিনি, যখন উনি নাম করেননি তখন থেকে ওনাকে চিনি। ওঁর মধ্যে স্বাভাবিক কতগুলি গুণ ছিল। সেই কারণেই এত মানুষকে নিয়ে ও কাজ করতে পেরেছে।’’ পাশাপাশি তিনি যোগ করেন, ‘‘২০০৯ সালে গ্রেফতার হওয়ার পরে তাঁর শাস্তি কী হয়েছিল আপনারা দেখেছেন। এখন উনি এলাকায় এসেছেন। এসে উনি যেটা দেখছে এবং সেটা সোচ্চারে বলছেন, জঙ্গলমহল কী ছিল আর কী হয়েছে, এটা আমরা যে বিপ্লব চেয়েছিলাম, এটা সেই বিপ্লবের থেকে কিছু কম নয়।’’
এ দিন মানিকপাড়া নেতাজি ক্লাব ময়দানে ২৬ তম বর্ষের মানিকপাড়া লোকসংস্কৃতি ও গ্রামীণ মেলার উদ্বোধন করেন কারিগরী মন্ত্রী। মেলার উদ্বোধনী বক্তৃতায় পূর্ণেন্দু বলেন, ‘‘এই জেলায় অনেকগুলি আইটিআই ও পলিটেকনিক তৈরি হয়েছে। ভোকেশন্যাল এডুকেশনেরও অনেকগুলি স্কুল রয়েছে। যদি এলাকার কোনও স্কুলে ভোকেশন্যাল কোর্স না থাকে, দরকার হলে আমাকে জানান, সেগুলিতেও ভোকেশন্যাল কোর্স চালুর উদ্যোগ নেব।’’ পাশাপাশি, কারিগরী মন্ত্রীর আক্ষেপ, ‘‘এখন কাজের প্রচুর সমস্যা। সরকার তো সবাইকে চাকরি দিতে পারবে না। কী-কী কাজ রয়েছে তা খুঁজে বার করতে হবে। সেই কাজের জন্য নিজেদের দক্ষ করে তুলতে হবে। অনেক ক্ষেত্রে আইটিআই ও পলিটেকনিকের ডিগ্রি অর্জন করে বাইরে কাজ পেয়েও বাঙালি যুবকেরা যান না।’’ জেলার শিল্প সংস্থাগুলি যাতে এলাকার কারিগরি শিক্ষিতদের কাজে নেয় সেজন্য দফতরের তরফে শিল্প সংস্থাগুলির সঙ্গে কথা বলা হবে বলেও জানান পূর্ণেন্দু।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy