Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
Congress

তৃণমূলে থাকা বেইমান, মিরজাফরদের, দুর্নীতিপরায়ণদের তালিকা প্রকাশ করুন, মমতাকে মান্নান

গত বছরের জুনে কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গাঁধীকে চিঠি লিখে মান্নান জানিয়েছিলেন, ১০০ জন বিধায়ক ও ২০ জন মন্ত্রী তৃণমূল ছাড়তে চান।

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ১৯:৩১
Share: Save:

তৃণমূলে থাকা বেইমান, গদ্দার, মিরজাফর এবং দুর্নীতিপরায়ণদের তালিকা আগেই প্রকাশ করুন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনটাই দাবি করলেন বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান। শুক্রবার রাজ্যসভায় তৃণমূল ছাড়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন দীনেশ ত্রিবেদী। তার পরেই তৃণমূলের শীর্ষ নেতারা তো বটেই নেটমাধ্যমে কর্মী-সমর্থকদের ব্যাপক ‘ট্রোলিং’-এর মুখে পড়েছেন সদ্য দলত্যাগী নেতা। আর এই ঘটনাকে হাতিয়ার করেই পাল্টা তৃণমূলকে আক্রমণ শানিয়েছেন প্রবীণ কংগ্রেস নেতা আব্দুল মান্নান।

বিধানসভার বিরোধী দলনেতা মান্নান বলেন, ‘‘তৃণমূলে থাকলেই তিনি পুণ্যাত্মা। আর তৃণমূল ছাড়লেই সেই ব্যক্তিই হয়ে যান বেইমান! এমনকি তাঁকে বলা হয়, গদ্দার, মিরজাফর। দলনেত্রীও দলছুট নেতাদের দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগ তুলছেন। তৃণমূল নেতৃত্ব যদি সব কিছু জেনেই থাকেন, তা হলে দল ছাড়ার আগেই ওই নেতাদের নাম প্রকাশ করে দিন। তা হলে রাজ্যের মানুষ জানবে, কারা তৃণমূলে থেকে দুর্নীতিতে হাত পাকিয়েছিলেন। তাই আমরা তৃণমূল নেতাদের কালো তালিকা প্রকাশ করার দাবি করছি।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘যখন নেতা, মন্ত্রী, সাংসদরা দলে থাকছেন, তখন তাঁদের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ থাকছে না। পরে দল ছাড়ার পর তাঁদের দুর্নীতির কথা ফলাও করে বলা হচ্ছে। তা হলে কী সরকার পক্ষ দুর্নীতিগ্রস্তদের প্রশ্রয় দিয়েছিল? নাকি তৃণমূলে থাকলে দুর্নীতি করার লাইসেন্স পাওয়া যায়? এই বার্তা দিয়ে দুর্নীতিগ্রস্থদের ধরে রেখে দলের ভাঙন রোধ করতে চেয়েছিলেন তৃণমূলনেত্রী?’’

প্রায় প্রতি দিনই তৃণমূল ছাড়ছেন কোনও না কোনও নেতা। আর দল ছাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই তাঁকে তৃণমূলের নেতা কর্মীরা ‘বেইমান’, ‘গদ্দার’, ‘মিরজাফর’, ‘দুর্নীতিপরায়ণ’ বলে তোপ দাগছেন। তাই মান্নানের দাবি, তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উচিত আগেই দলের নেতাদের কালো তালিকা প্রকাশ করে জানিয়ে দেওয়া, কোন কোন দুর্নীতিপরায়ণ নেতাদের তিনি আশ্রয় দিয়েছিলেন। মান্নানের আরও দাবি, ‘‘আগামী দিনে তৃণমূলের ভাঙন আরও তরাণ্বিত হবে।’’

গত বছরের জুনে কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গাঁধীকে চিঠি লিখে মান্নান জানিয়েছিলেন, ১০০ জন বিধায়ক ও ২০ জন মন্ত্রী তৃণমূল ছাড়তে চান। কিন্তু এআইসিসি নেতৃত্ব বিষয়টি নিয়ে সে ভাবে উদ্যোগী হয়নি। তাতে অবশ্য তৃণমূলের ভাঙন আটকানো যায়নি। সেই ভাঙনেই একে একে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপি-তে গিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী থেকে শুরু করে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়রা। তার পরেই তাঁদের বেইমান, মিরজাফর, গদ্দার বলে আক্রমণ শানিয়েছে তৃণমূল। মান্নান প্রশ্ন তুলেছেন, ‘‘যদি তৃণমূল ছেড়ে বিজেপি-তে যাওয়া নেতারা দিনের পর দিন দুর্নীতি করেই থাকেন, তা হলে তাঁদের বিরুদ্ধে আগেই কেন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি? তা হলে তো মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসন পুরোপুরি ব্যর্থ!’’

অন্য বিষয়গুলি:

Congress Abdul Mannan
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy