— প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
দীর্ঘ দিন ধরেই চলছিল ভাইয়ে-ভাইয়ে সংঘাত। তারই রেশ ধরে ব্যাপক বোমাবাজি এবং অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটল পূর্ব বর্ধমানের মঙ্গলকোট থানার দেবুচা গ্রামে। বোমাবাজির পাশাপাশি, একটি খড়ের পালুইয়েও আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। ভাঙচুর করা হয় একটি টোটো। শুক্রবার রাতের ওই ঘটনাকে ঘিরে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছে এলাকায়।
পরিস্থিতি সামাল দিতে এলাকায় পুলিশ পৌঁছয়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে,বোমার আঘাতে অল্পবিস্তর জখম হয়েছে তিন নাবালক ও নাবালিকা। স্থানীয়দের একাংশের দাবি, এই সংঘর্ষের নেপথ্যে রয়েছে শাসক দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। ঘটনায় এখনও পর্যন্ত দু’পক্ষের মোট চার জনকে আটক করেছে পুলিশ। চলছে জিজ্ঞাসাবাদ, তদন্ত। ওই ঘটনার পর প্রায় ২৪ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও এলাকায় উত্তেজনা কমেনি। চলছে পুলিশি টহল।
স্থানীয়েরাই জানাচ্ছেন, দেবুচা গ্রামের বাসিন্দা উজির মল্লিক ঝিলু-২ পঞ্চায়েতের তৃণমূলের প্রাক্তন সদস্য। উজিরেরা পাঁচ ভাই। শুক্রবার রাতে এই পাঁচ ভাইয়ের মধ্যে উজির, নাজির মল্লিক এবং সাকাত মল্লিকের বাড়িতে হামলা, বোমাবাজি এবং ভাঙচুর চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ। অভিযোগের তির উজিরদেরই আর এক ভাই মনোহর মল্লিক ওরফে মনু ও তাঁর ছেলে জসিম মল্লিকের দিকে। উজিরের স্ত্রী শাকিলা জানিয়েছেন, মনু ও জসিম বেশ কয়েকজন দুষ্কৃতীকে নিয়ে এসে শুক্রবার রাতে তাঁদের বাড়িতে হামলা চালান। এলোপাথাড়ি বোমাবাজি চলে উজির এবং সাকাতের বাড়িতে। পাশাপাশি, নাজিরের একটি খড়ের পালুইয়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। দুষ্কৃতীদের মধ্যে আশপাশের গ্রামেরও কয়েক জন ছিলেন বলে অভিযোগ।
উজির জানান, বোমা ফাটার সময়েই পাথরের টুকরোর আঘাতে জখম হয়েছে তাঁর ছেলে ইসাউদ্দিন ও মেয়ে মমতাজ। এ ছাড়া, সাকাতের মেয়ে সুহানা খাতুনও জখম হয়েছেন বলে অভিযোগ। যদিও স্থানীয়দের মত, শুধু ভাইয়ে-ভাইয়ে বিরোধ নয়, বরং এই হামলার নেপথ্যে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য রয়েছে। তৃণমূলেরই অন্য একটি গোষ্ঠী এই হামলায় ইন্ধন দিয়েছে বলে অভিযোগ উজিরের। যদিও অপর পক্ষ এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy