সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়।
অরাজনৈতিক মঞ্চ থেকে প্রথম স্মরণসভায় সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়ের বিবিধ অবদানের কথাই বললেন সিপিএম নেতারা। উঠে এল তাঁর দলীয় রাজনীতির পর্ব এবং তার পরের সময়ের কথাও। যাদবপুরে ‘সিটিজেন্স ফোরামে’র উদ্যোগে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার ওই স্মরণসভায় আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল যাদবপুরের প্রাক্তন ও বর্তমান দুই তৃণমূল সাংসদ কৃষ্ণা ও সুগত বসুকে। কিন্তু অনিবার্য কারণে তাঁরা উপস্থিত থাকতে পারছেন না বলে জানিয়ে দেন। আমন্ত্রণ জানানো হলেও সোমনাথবাবুর পরিবারের কাউকে ওই স্মরণসভায় চোখে পড়েনি।
যাদবপুরের দীর্ঘ দিনের সাংসদ সোমনাথবাবুর স্মরণে এ দিন হাজির ছিলেন সিপিএম নেতা শ্যামল চক্রবর্তী, সুজন চক্রবর্তী, কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়, তড়়িৎ তোপদারেরা। দীর্ঘ সংসদীয় ও রাজনৈতিক জীবনে সোমনাথবাবুর লড়াইয়ের কথা বলেছেন তাঁর প্রাক্তন সতীর্থেরা। ‘সেভ ডেমোক্র্যাসি’র তরফে প্রাক্তন মেয়র তথা আইনজীবী-নেতা বিকাশ ভট্টাচার্য উল্লেখ করেছেন, সাংসদ-জীবনের পরবর্তী পর্বে গণতন্ত্র ও আইনের শাসনের স্বার্থে বহু প্রশ্নে আইনি সহায়তা দিয়েছেন সোমনাথবাবু। শাসক দলের বাধায় বোলপুরে যখন ঢুকতে পারছেন না ‘সেভ ডেমোক্র্যাসি’র সদস্যেরা, অসুস্থ শরীরেও তখন এগিয়ে এসেছিলেন সোমনাথবাবু। এর পরে ‘প্রতিবন্ধী সম্মিলনী’ এবং ‘সুভাষ চক্রবর্তী ফাউন্ডেশনে’র উদ্যোগে আরও দু’টি স্মরণসভা হবে। তারও নেপথ্যে সিপিএম নেতারা। দলের রাজ্য নেতৃত্বও চেষ্টা করছেন, পিপল্স রিলিফ কমিটির (পিআরসি) মতো কাউকে সামনে রেখে সোমনাথ-স্মরণের আয়োজন করার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy