রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) অমলেন্দু চট্টোপাধ্যায়। ছবি: সংগৃহীত।
নিরুদ্দেশ, না কি অপহরণ? ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে সদ্য কংগ্রেসে যোগ দেওয়া প্রাক্তন বিজেপি নেতার ‘নিরুদ্দেশ’ বিজ্ঞপ্তি ঘিরে। বৃহস্পতিবার যা প্রকাশ করেছে লালবাজার।
এক সময় অমলেন্দু চট্টোপাধ্যায় ছিলেন রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন)। ডাক সাইটে আরএসএস নেতা। মাস কয়েক আগে জনৈক রাজলক্ষ্মী চৌধুরী তাঁর বিরুদ্ধে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাসের অভিযোগ করেছিলেন। যার ভিত্তিতে তাঁকে গ্রেফতারও করেছিল পুলিশ। পরে রাজলক্ষ্মীকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে জামিন পান অমলেন্দুবাবু। বিয়েও করেন। আরএসএস-এর সঙ্গে সংযোগ ছিন্ন করে যোগ দেন কংগ্রেসে। এ দিন পুলিশের তরফে রীতিমতো বিজ্ঞপ্তি জারি করে সেই অমলেন্দুবাবুকেই ‘নিরুদ্দেশ’ ঘোষণা করা হয়।
লালবাজার সূত্রের খবর, গত ১৯ মার্চ রাজলক্ষ্মী অমলেন্দুবাবুর নিরুদ্দেশ হওয়ার অভিযোগ দায়ের করেন। তারই ভিত্তিতে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। এ দিন রাজলক্ষ্মীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ১৯ তারিখ বাজারে গিয়ে তিনি অমলেন্দুবাবুকে ফোন করেন। কিন্তু তাঁকে ফোনে পাওয়া যায়নি। এরপর বাড়ি পৌঁছে দেখেন সদর দরজা খোলা। পাখা চলছে। রাজলক্ষ্মীর অভিযোগ, অমলেন্দুবাবু জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পরে একাধিকবার বিজেপি এবং আরএসএসের কর্মীরা তাঁদের হুমকি দিয়েছেন। তাঁর অভিযোগ, এ ঘটনার সঙ্গেও তাঁদের যুক্ত থাকার সম্ভাবনা আছে।
রাজ্যের বিজেপি এবং আরএসএস নেতারা অবশ্য প্রকাশ্যে এ বিষয়ে মুখ খুলতে চাননি। তবে তাঁদের অভিযোগ, ভোটের মরশুমে বিজেপিকে ‘কালিমালিপ্ত’ করতেই এই ‘চক্রান্ত’। এ বিষয়ে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্রের বক্তব্য, ‘‘কিছু দিন আগে পর্যন্তও তিনি বিধান ভবনে এসেছেন। তিনি যে নিখোঁজ, জানতেও পারিনি। তাঁকে অপরহরণ করা হয়েছে কি না, তদন্ত করে দেখা হোক।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy