পঞ্চায়েত পদাধিকারীর কারও আত্মীয় উপভোক্তা হলে তাঁর উপযুক্ততা যাচাই করবেন সিনিয়র অফিসারেরা। ফাইল চিত্র।
কমবেশি আট বছর পরে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় পশ্চিমবঙ্গে বরাদ্দ মঞ্জুর করেছে কেন্দ্র। স্বচ্ছ ও মসৃণ ভাবে প্রকৃত প্রাপকদের বাড়ি পাইয়ে দেওয়াটা এখন নবান্নের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ। এই অবস্থায় ওই যোজনা নিয়ে বৈঠকে ত্রিস্তরীয় নজরদারির নির্দেশ দিলেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। শুক্রবারের ওই বৈঠকে সাধারণ প্রশাসনের সঙ্গে এ কাজে যুক্ত করা হয়েছে পুলিশকেও। পঞ্চায়েত পদাধিকারীর কারও আত্মীয় উপভোক্তা হলে তাঁর উপযুক্ততা যাচাই করবেন সিনিয়র অফিসারেরা।
প্রশাসনিক সূত্রের খবর, এই প্রকল্পে উপভোক্তাদের তালিকাকে অভিযোগমুক্ত রাখতে প্রথমে আইসিডিএস বা আশাকর্মীদের উপভোক্তার ঠিকানায় পাঠিয়ে যাচাই করতে বলা হয়েছে। যাচাই-তালিকার থেকে কিছু উপভোক্তাকে বেছে তাঁদের উপযুক্ততা খতিয়ে দেখবেন পুলিশের আইসি, ওসি-রা। পরবর্তী পর্যায়ে যাচাইয়ের দায়িত্ব বর্তেছে অতিরিক্ত জেলাশাসক বা জেলাশাসকদের উপরে। এমনকি, বিডিও, এসডিও কার্যালয়ে অভিযোগ জানানোর ব্যবস্থা রাখতে হবে।
গত মাসের শেষে মুখ্যসচিবের বার্তা ছিল, প্রকল্পের দায়িত্বে থাকবেন জেলাশাসকেরাই। অন্য ‘কারও’ কথায় কান দেওয়ার প্রয়োজন নেই তাঁদের। প্রশাসনিক পর্যবেক্ষকদের মতে, রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ থেকে বাড়ির এই প্রকল্পকে মুক্ত রাখতেই সেই নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।
গত মার্চ থেকে এই প্রকল্পে বাড়ি তৈরির বিভিন্ন অভিযোগে অনুমোদন আটকে দিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার। তাতে সমস্যা বাড়ছিল রাজ্যের। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে কথা বলেন। পরে রাজ্যের পঞ্চায়েতমন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার এবং সচিব পি উলাগানাথনও তাঁদের স্তরে বৈঠক করেন। গত মাসের মাঝামাঝি রাজ্যে ওই যোজনার কাজ চালানোর অনুমোদন দিয়েছে কেন্দ্র। তাতে যে-সব বাড়ি তৈরি হবে, তার আর্থিক পরিমাণ ৮২০০ কোটি টাকা। তবে এ কাজে কেন্দ্র যে-শর্ত বেঁধে দিয়েছে, তা পূরণ করতেই হবে রাজ্য সরকারকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy