শেফালি বর্মা। —ফাইল চিত্র।
কয়েক দিন আগেও ভারতের মহিলা দলের ভবিষ্যৎ বলা হত তাঁকে। কিন্তু ব্যাট হাতে পর পর খারাপ খেলায় জাতীয় দল থেকে বাদ পড়েছেন শেফালি বর্মা। তাঁর পরিবর্তে সুযোগ পাওয়া প্রতীকা রাওয়াল প্রথম ছ’টি ম্যাচে একটি শতরান ও তিনটি অর্ধশতরান করেছেন। অর্থাৎ, শেফালির প্রত্যাবর্তন কঠিন। জাতীয় দল থেকে বাদ পড়ার খবর তাঁর পিতাকে জানাননি তিনি। কেন এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন শেফালি।
নিউ জ়িল্যান্ডের বিরুদ্ধে এক দিনের সিরিজ়ে তিনটি ম্যাচে যথাক্রমে ৩৩, ১১ ও ১২ রান করেছিলেন শেফালি। তার পরেই বাদ পড়েন তিনি। তার ঠিক দু’দিন আগে হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন তাঁর পিতা। সেই কারণে পিতাকে খবর দেননি শেফালি।
কেরিয়ারের সেই কঠিন সময়ের কথা জানিয়েছেন শেফালি। তিনি বলেন, “সময়টা খুব খারাপ কেটেছে। আমি বাদ পড়ার দু’দিন আগেই আমার বাবা হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়েছিল। হাসপাতালে ভর্তি ছিল। তাই আমি তাকে কিছু জানাইনি। বাবার সুস্থ হয়ে ওঠার অপেক্ষা করছিলাম। এক সপ্তাহ পরে বাবাকে সবটা জানাই।”
শেফালির ক্রিকেটার হওয়ার নেপথ্যে তাঁর পিতার বড় ভূমিকা রয়েছে। কঠিন সময়ে তাই পিতার কাছেই গিয়েছেন তিনি। তাঁর কোথায় কোথায় উন্নতি প্রয়োজন সেই পরামর্শ নিয়েছেন। শেফালি বলেন, “বাবা আমার খেলার বিষয়ে সব জানে। আমিও অনেক কিছু ভুলে গিয়েছি। কিন্তু বাবার সব মনে আছে। বাবা আমাকে মনে করিয়ে দিয়েছে কোথায় কোথায় উন্নতি করতে হবে। আমার দুর্বলতা মেটানোর চেষ্টা করছি। কিন্তু জানি এক দিনে তা হবে না।”
দল থেকে বাদ পড়ার পরে দু’টি ঘরোয়া প্রতিযোগিতা খেলেছেন শেফালি। সেখানে ৫২৭ ও ৪১৪ রান করেছেন। ঘরোয়া ক্রিকেটে রান করলেও জাতীয় দলে এখন তাঁর ফেরা কঠিন। সেটা জানেন শেফালি। তবে লড়াই ছাড়ছেন না তিনি। পিতার পরামর্শে আবার প্রত্যাবর্তনের চেষ্টা করছেন ভারতীয় ওপেনার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy