বীরভূমে মহিলার অস্বাভাবিক মৃত্যুর তদন্তে পুলিশ। — প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
ঘড়ির কাঁটায় তখন রাত প্রায় ৯টা। বাড়ির মধ্যে বেশ কিছু ক্ষণ ধরেই চিৎকার, চেঁচামেচি শুনতে পাচ্ছিলেন প্রতিবেশীরা। মা ও ছেলের মধ্যে কিছু একটা অশান্তি যে চলছিল, তা টের পেয়েছিলেন তাঁরা। হঠাৎ বাড়ির ভিতর থেকে মহিলার জোরে আর্তনাদ। তা শুনতে পেয়ে ওই বাড়িতে ছুটে যান প্রতিবেশীরা। বাড়িতে ঢুকেই দেখেন মহিলা রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন মেঝেতে। গলগল করে রক্ত বেরোচ্ছে। মহিলার ছেলে তখন তাঁর মাথায় জল ঢালছেন। তড়িঘড়ি তাঁকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় সিউড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। কিন্তু তত ক্ষণে মৃত্যু হয়েছিল বছর সাতান্নর বাসন্তী কুন্ডুর।
বীরভূমের চন্দ্রপুর থানার পাতাডাঙা এলাকায় বুধবার রাতের এই ঘটনার পর পুলিশ আটক করেছে মৃতার ছেলে লোটন কুন্ডুকে। যদিও পুলিশ সূত্রে খবর, এখনও পর্যন্ত কোনও অভিযোগ জমা পড়েনি থানায়। তাই অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে স্বতঃপ্রণোদিত তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার সকালেও বাড়িতে গিয়ে দেখা গেল, মেঝেতে ছোপ ছোপ রক্তের দাগ। মেঝেতে পড়ে রয়েছে আধখাওয়া এক বাটি মুড়ি।
স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের দাবি, লোটন নামে ওই যুবক মাঝেমধ্যে বিভিন্ন ধরনের নেশা করতেন। তা নিয়েই মায়ের সঙ্গে যুবকের ঝামেলা লেগে থাকত। মাঝে লোটন কাজের সন্ধানে অন্যত্র গিয়েছিলেন। তার পর কিছু দিন আগেই আবার বাড়ি ফিরেছেন। লোটনের নেশা করা নিয়েই বুধবার রাতে মা-ছেলের মধ্যে ঝামেলা শুরু হয়েছিল বলে সন্দেহ প্রতিবেশীদের। স্থানীয় এক মহিলার দাবি, ওই ঝামেলার সময়েই মেজাজ হারিয়ে মায়ের মাথায় শাবল দিয়ে আঘাত করেন লোটন। মাকে আঘাত করার কথা প্রতিবেশীদের কাছে লোটন স্বীকারও করেছেন বলে দাবি ওই প্রতিবেশী মহিলার।
এর পর রক্তাক্ত অবস্থায় বাসন্তীকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ঘটনার খবর পেয়ে বুধবার রাতেই পাতাডাঙায় লোটনদের বাড়িতে যায় চন্দ্রপুর থানার পুলিশ। শেষ পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, তদন্তের জন্য মৃতার ছেলেকে আটক করেছে পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy