প্রতীকী ছবি।
আদালতের নির্দেশে ধর্ষণের অভিযোগকারী মূক ও বধির তরুণীর শারীরিক পরীক্ষা করানোর কথা ছিল শনিবার। কিন্তু দোভাষীর (যিনি ওই তরুণীর ভাষা চিকিৎসককে বোঝাবেন) অনুপস্থিতিতে সেই পরীক্ষা করানো যায়নি বলে পুলিশ সূত্রের খবর। ওই তরুণীকে আপাতত একটি সরকারি হোমে রাখা হয়েছে। আগামিকাল, সোমবার আদালতে তাঁর গোপন জবানবন্দি দেওয়ার কথা। লালবাজারের দাবি, ইতিমধ্যেই তরুণীর এক বার শারীরিক পরীক্ষা হয়। মামলার গুরুত্ব বুঝে আদালতের নির্দেশ মেনে দ্বিতীয় বারের পরীক্ষাও দ্রুত সেরে ফেলা হবে।
পুলিশ সূত্রের খবর, প্রজাতন্ত্র দিবসের আগের রাতে কাজ সেরে বাড়ি ফেরার সময় দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসিন্দা ওই মূক ও বধির তরুণীকে একটি ট্যাক্সিতে তুলে ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছে চালকের বিরুদ্ধে। তদন্তে নেমে পুলিশ আনন্দপুর থানা এলাকার বাসিন্দা মহম্মদ কামরে আলম ওরফে রাজা নামে বছর বাইশের এক তরুণকে গ্রেফতার করেছে। পুলিশের দাবি, ইএম বাইপাসে গাড়ির অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে থাকা তরুণীকে জোর করে গাড়িতে তুলে অম্বেডকর সেতুর নীচের একটি জায়গায় নিয়ে যায় রাজা। সেখানেই তাঁকে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। তরুণীর সঙ্গে থাকা পাঁচ হাজার টাকা লুট করে চম্পট দেয় অভিযুক্ত। পরের দিন সকালে কোনও মতে বাড়ি ফিরে এক পরিচিতকে সঙ্গে নিয়ে অভিযোগ দায়ের করতে আসেন তরুণী। পর পর দু’টি থানা ঘুরে শেষ পর্যন্ত প্রগতি ময়দান থানায় অভিযোগ দায়ের করতে পারেন তিনি।
পুলিশ সূত্রের খবর, রাজাই যে দুষ্কর্ম ঘটিয়েছে তা অনেকটাই নিশ্চিত হওয়া গিয়েছে। আনন্দপুরে খোঁজ নিয়ে পুলিশ জেনেছে, প্রায়ই মত্ত অবস্থায় বাড়ি ফিরত রাজা। আদতে বিহারের বাসিন্দা রাজা ইতিমধ্যেই তিনটে বিয়ে করেছে। প্রথম পক্ষে তার সন্তানও রয়েছে। তবে কলকাতায় রাজার তৃতীয় স্ত্রী এখন আর তার সঙ্গে থাকেন না। এমনকি রাজার সঙ্গে তার বাবা-মায়েরও বনিবনা নেই।
রাজার বাবা ধর্মতলা এলাকায় দূরপাল্লার বাসে কুলির কাজ করেন। ছেলের থেকে আলাদা ধর্মতলায় তাঁরা ঘর ভাড়া নিয়ে থাকেন। রাজার বাবা বলেন, ‘‘ছেলের ব্যবহারে অতিষ্ঠ হয়ে আমরা আলাদা থাকা শুরু করি। কিন্তু সে যে এমন কাণ্ড ঘটাবে ভাবিনি।’’ ঘটনার রাতে রাজা মত্ত অবস্থায় ছিল কি না তাও খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। আদালতের নির্দেশে আপাতত রাজা পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন। তাঁরও শারীরিক পরীক্ষার ব্যবস্থা হচ্ছে বলে পুলিশ সূত্রের দাবি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy