প্রতীকী ছবি।
ফুচকার নাম শুনলে জিভে জল আসে না, এমন খাদ্যরসিকের দেখা মেলা ভার। সেদ্ধ আলু-ছোলায় মশলার মাখামাখিতে ফুচকার পুরে তেঁতুল জলের সঙ্গত তো চেখে দেখেছেন তাঁদের অনেকেই। তবে ফুচকার মধ্যে কখনও চকোলেট বা চিকেনের স্বাদ পেয়েছেন? অথবা আইসক্রিম বা জেলিমাখানো পুরের ফুচকার কথা শুনেছেন? এমন অভিনব সব ফুচকাই তৈরি করছেন পূর্ব বর্ধমানের ফুচকা বিক্রেতা পলাশ পাল।
দই-ফুচকা বা পাপড়ি চাট ছড়ানো ফুচকার গতেবাঁধা চমকের বাইরে বেরিয়েই ৩৭ রকমের অভিনব ফুচকা তৈরি করছেন কাঞ্চননগরের বকুলতলার বাসিন্দা পলাশ। কী কী ধরনের ফুচকা পাওয়া যাচ্ছে তাঁর স্টলে? পলাশ জানিয়েছেন, তেঁতুল জল বা দই ফুচকা ছাড়াও রয়েছে চিকেন,পনির,চিজ,চকোলেট ফুচকা। চেখে দেখতে পারেন বাহুবলী ফুচকাও। ভর্তার মতো ডিশও মিশিয়ে দিয়েছেন ফুচকার সঙ্গে। এতেই শেষ নয়। যাঁরা মিষ্টি খেতে ভালবাসেন, তাঁদের মাতাতে ফুচকায় রয়েছে রাবড়ি, আইসক্রিম, জেলি বা ড্রাই ফ্রুটও। ফুচকা খাবেন অথচ ঝালে মুখ পুড়ে যাবে না, তা কি হয়? তাই পলাশের স্টলে রয়েছে ফায়ার ফুচকা। এমনকি, কাঁচা আম মেশানো ফুচকার মতো আইটেমও রয়েছে মেনুতে।
অতিমারি পর্বে যখন বহু বিক্রেতাই দোকানের ঝাঁপ ফেলতে বাধ্য হয়েছেন, সে সময় পলাশের স্টলে ভিড় চোখে পড়ার মতো। তাঁর তৈরি ফিউশন-ফুচকা চেখে দেখতে দূরদূরান্ত থেকেও ভিড় জমাচ্ছেন অনেকে। খদ্দেরের ভিড় দেখে স্বাভাবিক ভাবেই খুশি পলাশ। তিনি বলেন, “অনেকেই এখন ট্র্যাডিশনাল ছাড়াও অন্য স্বাদের আইটেম খোঁজেন। তাঁদের রুচি মেটাতেই ফুচকা নিয়ে এত পরীক্ষানিরীক্ষা করছি। এতে সাড়াও পাওয়া যাচ্ছে। আর অনেকেই জানাচ্ছেন যে এতে তাঁদের স্বাদবদল ঘটছে।”
পলাশের স্টলের ফুচকার অভিনবত্বে মজেছেন বর্ধমানের উদয়পল্লির বাসিন্দা মৌসুমী পালও। তিনি বলেন, “এখানকার ফুচকার স্টলে হাজারও আইটেম রয়েছে। খেতে তেমনই ভাল। বিকেল গড়িয়ে সন্ধে নামলে ক্রেতাদের ভিড় বাড়তেই থাকে। অনেক রাত পর্যন্ত ভিড় হয়।”
মৌসুমীর মতোই পলাশের ফিউশন-ফুচকায় কম টান নেই গোলাপবাগের সোমা দাসের। গোলাপবাগ থেকে কাঞ্চনগরের দূরত্ব অনেকটাই। তা সত্ত্বেও এখানে ফুচকা খেতে আসেন তিনি। সোমার কথায়, “সময় পেলেই পলাশের ফুচকা খেতে ছুটে আসি।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy