গোটা দেশের মধ্যে সিভিক পুলিশের সংখ্যা সবথেকে বেশি হারে বেড়েছে পশ্চিমবঙ্গে। কিন্তু রাজ্যের পুলিশ বাহিনীতে কনস্টেবল পদে প্রায় ৪১ শতাংশ পদ খালি পড়ে রয়েছে। যার ফলে পুলিশ ব্যবস্থায় দেশের ১৮টি বড় ও মাঝারি রাজ্যের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ রয়েছে শেষ স্থানে।
রাজ্যের নাগরিকদের বিচার পাইয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে ১৮টি বড় ও মাঝারি রাজ্যের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের জায়গা হয়েছে একদম শেষে। টাটা ট্রাস্টের উদ্যোগে তৈরি ‘ইন্ডিয়া জাস্টিস রিপোর্ট ২০২৫’ জানাল, পুলিশ, জেল পরিচালনা, বিচার পরিষেবা ও আইনি সহায়তা— এই চারটি মাপকাঠির ভিত্তিতে দক্ষিণ ভারতের রাজ্যগুলিই প্রথম পাঁচটি স্থানে রয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ একেবারে শেষ স্থানে নেমে গিয়েছে। পুলিশি ব্যবস্থা ও বিচার পরিষেবার মাপকাঠিতে পশ্চিমবঙ্গ শেষ স্থানে রয়েছে। সামগ্রিক ভাবেও রাজ্য শেষ স্থানে।
রাজ্যগুলির মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ একমাত্র একটি ক্ষেত্রেই প্রশংসা পেয়েছে। তা হল, একমাত্র পশ্চিমবঙ্গেই রাজ্য মানবাধিকার কমিশনে কোনও পদ খালি নেই। কিন্তু সিভিক পুলিশের অনুমোদিত পদ ২০২২ থেকে ২০২৩-এর মধ্যে ১,২১,০১২ থেকে বেড়ে ১,২৭,৭২৭ হয়েছে। অর্থাৎ ৬,৭১৫টি সিভিক পুলিশের পদের সংখ্যা বেড়েছে। আর কোনও রাজ্যে সিভিক পুলিশের সংখ্যা এত বাড়েনি। আবার আর কোনও রাজ্যে এত হারে কনস্টেবলের পদও খালি পড়ে নেই। ১৮টি বড় ও মাঝারি রাজ্যের মধ্যে জেল পরিচালনার মাপকাঠিতে পশ্চিমবঙ্গ রয়েছে ১১-তম স্থানে। আইনি সহায়তার মাপকাঠিতে ১৫-তম স্থানে।
রিপোর্ট অনুযায়ী, নাগরিকদের বিচার পাইয়ে দেওয়ার নিরিখে কর্নাটক প্রথম স্থানে রয়েছে। কিন্তু রিপোর্টে বলা হয়েছে, কোনও রাজ্য পুলিশ বাহিনীতে সংরক্ষিত আসনে মহিলা নিয়োগ করেনি। দেশের ২০.৩ লক্ষ পুলিশ বাহিনীতে উচ্চপদে ১ হাজার জনেরও কম মহিলা রয়েছেন। দেশের ১০টির মধ্যে তিনটি থানায় কোনও মহিলা হেল্প ডেস্ক নেই। ১৭ শতাংশ থানায় কোনও সিসিটিভি নেই।
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)