প্রতীকী চিত্র।
খনি শহর রানিগঞ্জ দক্ষিণবঙ্গের বড় পাইকারি বাজারগুলির মধ্যে একটি। কাজেই রাজ্যের নানা প্রান্তের সঙ্গে এই শহরের নিত্য যোগাযোগ রয়েছে। ব্যবসার পাশাপাশি নানা কাজের সূত্রে শুধু পশ্চিমবঙ্গ নয়, পাশের রাজ্যের সঙ্গেও রানিগঞ্জ শহরের যোগযোগ রয়েছে। কিন্তু যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম রেলপথে সমস্যা রয়েছে বলে জানিয়েছে রানিগঞ্জ সিটিজেন্স ফোরাম।
সিটিজেন্স ফোরামের দাবি, আসানসোল থেকে ভায়া রানিগঞ্জ নতুন এক্সপ্রেস ট্রেন, অণ্ডাল বা আসানসোল ভায়া বাঁকুড়া রেলপথ নির্মাণ ও চারটি দূরপাল্লা ট্রেনের স্টপেজ রানিগঞ্জে দেওয়া হোক। রানিগঞ্জ বণিক সংগঠনের সভাপতি সন্দীপ ভলোটিয়া জানান, রানিগঞ্জ শহরের সঙ্গে বাঁকুড়া, বীরভূম, পুরুলিয়া জেলার আন্তঃজেলা বাণিজ্যের সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। তিনি বলেন, ‘‘এই সব দাবিতে আমরা দীর্ঘদিন রেল-সহ সংশ্লিষ্ট সব দফতরে আবেদন জানিয়ে আসছি।”
রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতিদিন ভোর ৫টা ৪৭ মিনিট নাগাদ আসানসোল-হাওড়া অগ্নিবীণা ও আসানসোল-শিয়ালদহ ইন্টারসিটি এক্সপ্রেস ৭টা ২ মিনিটে রানিগঞ্জে পৌঁছয়। এ ছাড়া, ধানবাদ-হাওড়া কোলফিল্ড সুপারফাস্ট সকাল ৭টা ১৯ মিনিট ও বিকেল ৫টা ৫২ মিনিট নাগাদ ধানবাদ-হাওড়া ব্ল্যাক ডায়মন্ড সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস রানিগঞ্জে আসে। রানিগঞ্জ সিটিজেন্স ফোরামের সভাপতি রামদুলাল বসু জানান, কোলফিল্ড ও ব্ল্যাক ডায়মন্ডের মাঝে প্রায় ১০ ঘণ্টা আসানসোল বা ধানবাদ থেকে কোনও সুপারফাস্ট ট্রেনের স্টপেজ এখানে নেই। হাওড়া-পটনা জনশতাব্দী, উপাসনা, শিয়ালদহ-বালিয়া ও হাওড়া-ইলাহাবাদ সিটি এক্সপ্রেস ট্রেন রানিগঞ্জ ছুয়ে গেলেও স্টপেজ না থাকায় বিস্তর অসুবিধায় পড়তে হয় মানুষজনকে। তা ছাড়া সড়কপথে রানিগঞ্জ ও বাঁকুড়ার দূরত্ব ৫২ কিলোমিটার হলেও রেলপথে যাত্রীদের আসানসোল হয়ে প্রায় ৯৪ কিলোমিটার ঘুরে বাঁকুড়ায় যেতে হয়। তিনি বলেন, ‘‘তাই সকাল ৯টা বা ১০টা নাগাদ আসানসোল থেকে হাওড়া বা শিয়ালদহ যাওয়ার এক্সপ্রেস ট্রেন এবং উক্ত চারটি দূরপাল্লার ট্রেনের স্টপেজ দেওয়া, রানিগঞ্জ-বাঁকুড়া রেলপথ চালুর জন্য আসানসোল ডিভিশনের ডিআরএমের দফতরে লিখিত আবেদন জানানো হয়েছে।’’
রানিগঞ্জের সমাজকর্মী বিশ্বনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়, আইনজীবী রত্নপানি মুখোপাধ্যায়দের অভিযোগ, ‘‘বেশকিছু দূরপাল্লার ট্রেন রানিগঞ্জে স্টেশনে দাঁড়ালেও তাতে আসন পেতে অসুবিধা হয়। সব সময় ঠিক টাইমে দূরপাল্লার ট্রেন আসেও না। ফলে, বিপাকে পড়তে হয়।’’ রানিগঞ্জের প্রাক্তন শিক্ষক বাসুদেব মণ্ডল চট্টোপাধ্যায়, সাংস্কৃতিক কর্মী আদিত্য মুখোপাধ্যায় জানান, নতুন ট্রেন চালু ও দূরপাল্লার চারটি ট্রেনের স্টপেজ দেওয়া হলে পড়ুয়া, অফিসযাত্রী থেকে ব্যবসায়ীরা উপকৃত হবেন। রানিগঞ্জের সিপিএম বিধায়ক রুনু দত্তের দাবি, “রানিগঞ্জ থেকে বাঁকুড়ার দুর্লভপুর তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র পর্যন্ত বিদ্যুৎকেন্দ্রের নিজস্ব রেলপথ আছে। দুর্লভপুর থেকে বাঁকুড়া শহরের দূরত্ব প্রায় ২০ কিলোমিটার। এই রেলপথ বাড়িয়ে দিয়ে ট্রেন চালু করলেই রানিগঞ্জ ও বাঁকুড়ার সঙ্গে সরাসরি রেল যোগাযোগের দীর্ঘদিনের স্বপ্ন পূরণ হয়ে যাবে।’’
রেলের এক কর্তা বলেন, ‘‘এই মুহূর্তে তেমন পরিকল্পনা নেই। বিষয়গুলি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy