(বাঁ দিকে) মহম্মদ সেলিম। শুভঙ্কর সরকার (ডান দিকে)। —নিজস্ব চিত্র।
সংবিধান-প্রণেতা বি আর অম্বেডকর কেন আক্রান্ত বারবার, সেই শীর্ষক আলোচনা-সভায় সুর মিলে গেল সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম ও প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি শুভঙ্কর সরকারের। একই সময়ে দুই নেতা মঞ্চে ছিলেন না ঠিকই। তবে পশ্চিমবঙ্গ সামাজিক ন্যায় মঞ্চ, পশ্চিমবঙ্গ আদিবাসী অধিকার মঞ্চ, সারা ভারত খেতমজুর ইউনিয়নের মতো বাম মনোভাবাপন্ন সংগঠন সমূহের ডাকে একই আলোচনা-সভায় সেলিম, শুভঙ্করের উপস্থিতি তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক শিবিরের একাংশ। প্রদেশ কংগ্রেসে সভাপতি বদলের পরে দুই শিবিরের বোঝাপড়ার সম্ভবনা নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠছিল। তার পরে প্রথম বারের জন্য একই মঞ্চে দুই নেতার উপস্থিতি কোনও ইঙ্গিতবাহী কি না, সেই আগ্রহ তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক শিবিরেরএকাংশে।
সেলিম মঙ্গলবার এই প্রসঙ্গে মন্তব্য করেছেন, ‘‘আমরা তো যেখানে থাকার, সেখানেই ছিলাম। আমরা তো চেয়েছি তৃণমূল কংগ্রেস-বিজেপি বিরোধী সকল শক্তিকে এককাট্টা করতে। শুভস্য শীঘ্রম!’’ যদিও প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি শুভঙ্করের কৌশলী বক্তব্য, ‘‘অম্বেডকরের যাঁরা বিরোধী, তাঁরা তো দেশদ্রোহী! তাঁদের বিরুদ্ধে যাঁরা, তাঁরা সবাই আমরা এক দিকে আছি। অম্বেডকরের প্রশ্নে সব মানুষ এক মঞ্চে আসবেন। সেলিম, আমি একসঙ্গে হাঁটব।’’
সেলিম এ দিনের আলোচনা-সভায় বলেছেন, যারা দেশের স্বাধীনতা মানে না, তারাই দেশের সংবিধানকে অস্বীকার করতে চায়। তাই বারবার অম্বেডকরের উপরে আক্রমণ। তাঁর সংযোজন, ‘‘সংবিধানের সঙ্গে সমার্থক প্রজাতন্ত্র দিবস। প্রজাতন্ত্র অর্থাৎ সবাই এক। সবার উপরে মানুষ সত্য। এটা যাঁরা মানেন না, যাঁরা হিন্দু-মুসলিম ভাগ করেন, যাঁরা ব্রাহ্মণ-দলিত ভাগ করেন, যাঁদের কাছে সবার উপরে ধর্ম সত্য, জাতপাত সত্য, তাঁরাই আজ সংবিধানকে অস্বীকার করছেন। সংবিধান বদল করার চেষ্টা করছেন।’’ শুভঙ্কর বলেছেন, ‘‘বাবাসাহেব অম্বেডকর মানে সংবিধান। তাঁকে আক্রমণ করা মানে সংবিধানকে আক্রান্ত করা। সংবিধানকে বিলুপ্ত করার প্রথম ধাপ এটা।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy