পার্শ্ব শিক্ষকদের আপাতত প্রাথমিক স্কুলে শিক্ষক হিসাবে নিয়োগ করা যাবে না। মঙ্গলবার অন্তর্বর্তিকালীন এই নির্দেশ দিল কলকাতা হাই কোর্ট। পাশাপাশি, বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চ এ-ও জানাল, সাধারণ ভাবে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া চলবে।

প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি করে। তাতে জানানো হয়, বর্তমানে প্রাথমিক স্কুলে কর্মরত অস্থায়ী শিক্ষকদের মধ্যে থেকে ১০ শতাংশকে স্থায়ী শিক্ষক হিসাবে নিয়োগ করা হবে। অবশ্যই যোগ্যতার বিচার করে। এই বিজ্ঞপ্তিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে কলকাতা হাই কোর্টে মামলা দায়ের করেন উচ্চ প্রাথমিক স্কুলে কর্মরত বেশ কয়েক জন অস্থায়ী শিক্ষক। তাঁরা দাবি করেন, প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় তাঁদেরও সুযোগ দিতে হবে।

২০২২ সালের ২১ নভেম্বর বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেছিলেন, ‘‘প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ আইনে এমন কোনও নির্দেশিকা নেই, যেখানে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে উচ্চ প্রাথমিকের পার্শ্ব শিক্ষকদের নিয়োগ করা যায় না।’’ তার পরেই বিচারপতি নির্দেশ দেন যে, প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে ১০ শতাংশ পদে উচ্চ প্রাথমিকের পার্শ্ব শিক্ষকদের সুযোগ দিতে হবে।

সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ৫০ জন প্রাথমিক অস্থায়ী শিক্ষক প্রথমে শীতকালীন অবকাশকালীন ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হন। সেই মামলার শুনানি চলাকালীন অবকাশকালীন বেঞ্চে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, পার্শ্ব শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করছে না পর্ষদ। আদালতের পূর্ণাঙ্গ রায়ের পরেই তারা সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে।