সুব্রত মুখোপাধ্যায়।
রবিবার থেকে রাজ্যে কার্যত লকডাউন পরিস্থিতি। এমন সময়েও গ্রামীণ ক্ষেত্রে ১০০ দিনের কাজ-সহ একঝাঁক পঞ্চায়েত প্রকল্প সচল রাখতে চান মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়। তাই আগামী মঙ্গলবার পঞ্চায়েত দফতরের গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক ডাকলেন তিনি। ২০২০ সালে আড়াই মাসের দেশজোড়া লকডাউনে গ্রামীণ এলাকাতেই পঞ্চায়েতের মাধ্যমে অর্থনীতির চাকা খানিকটা হলেও সচল ছিল। সেই ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়েই মহাত্মা গাঁধীর নামাঙ্কিত ১০০ দিনের কাজ চালিয়ে যাওয়ার পক্ষপাতী সুব্রত। সঙ্গে ‘ন্যাশনাল রুরাল লাইফ মিশন’ বা ‘এনআরএলএম’ এবং নির্মল বাংলা প্রকল্পও চালাতে চান তিনি।
এমন করোনা সংক্রমণের কঠিন সময়ে লকডাউন পরিস্থিতি বজায় রেখেও এই তিনটি প্রকল্প মারফত গ্রামের মানুষকে রোজগারের সুযোগ করে দেওয়া যায়। শনিবার মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় নতুন করে বিধিনিষেধ কার্যকর করে দেওয়ায় পঞ্চায়েত এলাকায় এই সব কাজ চালিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে সমস্যা তৈরি হয়েছে। তাই দ্রুতই বৈঠক ডেকে এই সমস্ত প্রকল্পগুলি কার্যকর রেখে সমস্যার সমাধান চান তিনি।
সুব্রত বলছেন, ‘‘রবিবার পর্যন্ত কাজের ক্ষেত্রে কোনও সমস্যা নেই। কিন্তু নতুন করে গ্রামীণ এলাকায় প্রকল্পগুলি চালু করতে গেলে কিছু কথাবার্তা বলা প্রয়োজন রয়েছে। যেই কারণেই মঙ্গলবার বৈঠক ডাকা হয়েছে। কারণ এমন পরিস্থিতিতে কাজ চালিয়ে যাওয়ার কোনও আইনগত সমস্যা নেই। তাই আশা করছি পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতর সচল থেকে গ্রামের মানুষকে রোজগার দিতে পারবে।’’ আচমকাই বিধিনিষেধ কার্যকর হয়ে যাওয়ায় গ্রামীণ ক্ষেত্রে পরিবহণ পরিষেবা-সহ যাবতীয় কর্মসংস্থান বন্ধ হয়ে গিয়েছে। এমতাবস্থায় পঞ্চায়েত দফতর গ্রামীণ এলাকায় বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করলে অনেকেই রুজি রুটির বন্দোবস্ত করতে পারবেন। সঙ্গে অর্থনীতির চাকাও গড়াবে নিজের নিয়মেই। তাই মঙ্গলবারের বৈঠকে যে পঞ্চায়েত দফতরের গ্রামোন্নয়নের প্রকল্পগুলির কাজ চালিয়ে যাওয়ার বিষয়ে সিলমোহর দেবে তা নিশ্চিত জানাচ্ছেন দফতরের আধিকারিকরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy