ফাইল ছবি
বিধানসভা ভোটে রাজ্যে কত কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী প্রয়োজন, তা নিয়ে প্রাথমিক স্তরে আলোচনা শুরু হয়েছে নির্বাচন কমিশনের অন্দরে। রাজ্যে ৩ দিনের সফরে প্রতিটি জেলার আইন-শৃঙ্খলা নিয়ে খুঁটিনাটি বিষয়ে খোঁজ নিয়েছেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুনীল আরোরা। প্রয়োজনীয় নির্দেশও দিয়েছেন তিনি। সে কথা মাথায় রেখেই কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিষয়ে প্রাথমিক স্তরে আলোচনা চলছে।
রাজ্যে ৭৮ হাজারের কিছু বেশি বুথ রয়েছে। করোনা পরিস্থিতিতে আরও ২২ হাজার অতিরিক্ত বুথ বাড়বে। এ কথা ঘোষণা করে গিয়েছিলেন খোদ নির্বাচন কমিশনার। সেই হিসেব ধরলে, প্রায় ১ লক্ষ বুথে ভোট করতে হলে, বাড়তে পারে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সংখ্যাও। সে ক্ষেত্রে রাজ্যে ১ হাজার কোম্পানি (লক্ষাধিক জওয়ান) কেন্দ্রীয় বাহিনী আসতে পারে। তবে ঠিক কত কোম্পানি বাহিনী বঙ্গ ভোটে আসবে, সে বিষয়ে এখনই নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। আগের বার এই সংখ্যাটা ছিল ৭৫ হাজারের মতো।
৩ দিনের সফর শেষে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুনীল আরোরা জানিয়েছিলেন, এ বিষয়ে রিপোর্ট খতিয়ে দেখে আলোচনার পরই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তবে আদর্শ আচরণ বিধি চালু হওয়ার পর ভোটের আগেই বাহিনী রাজ্যে আসবে।
ইতিমধ্যে এক দফা বৈঠকও সেরে ফেলেছেন কমিশন কর্তারা। রাজনৈতিক কারবারিরা মনে করছেন, এ বার অনেক আগেই কেন্দ্রীয় বাহিনী চলে আসতে পারে রাজ্যে। কারণ রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা নিয়ে সুনীলের কাছে নালিশ ঠুকেছে বিরোধী দলগুলি। কেন্দ্রীয় বাহিনীর সংখ্যা ঠিক করার সময় এ সব বিষয় মাথায় রাখা হচ্ছে বলে কমিশন সূত্রে খবর।
শুধু বাহিনী নয়, ভোট যাতে সুষ্ঠু ভাবে সম্পন্ন হয়, সে কারণে রাজ্যে ‘পুলিশ অবজারভার’ এবং ‘জেনারেল অবজারভার’-এর সংখ্যাও বাড়ানো হতে পারে। আগেই কমিশনের ফুল বেঞ্চ স্পষ্ট করে দিয়েছে, সিভিক ভলান্টিয়ার এবং গ্রিন পুলিশ দিয়ে ভোট করানো যাবে না। দাগি দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে দ্রুত পদক্ষেপ করতে হবে। রাজ্যে এপ্রিলের শুরুতে ভোট হওয়ার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিচ্ছে না রাজনৈতিক নেতামন্ত্রীরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy