চন্দ্রকোণায় তৃণমূলের দেওয়াল লিখন। নিজস্ব চিত্র।
‘মার ঝাড়ু মার, ঝেঁটিয়ে বিদায় কর, যত সব মীরজাফর’। এই ধরনের ছড়া দিয়েই শুরু হয়ে গেল নির্বাচনী প্রচারের দেওয়াল লিখন। কারো নাম না করে ব্যঙ্গচিত্র করে এই ধরনের ছড়ায় সেজে উঠতে শুরু করেছে পশ্চিম মেদিনীপুর। জেলার চন্দ্রকোনা-২ ব্লকের ভগবন্তপুর-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের কৃষ্ণপুর এলাকায়।
এখনও ভোটের দিন ঘোষণা হয়নি। তবে রাজ্যে নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চ বৈঠক করে গিয়েছে। চূড়ান্ত ভোটার তালিকা ইতিমধ্যেই প্রকাশিত হয়েছে। সোমবার জাতীয় ভোটার দিবস পালিত হয়। তারই মধ্যে প্রচারের ময়দানে নেমে পড়েছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। মেদিনীপুর শহরে ৯ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূল কংগ্রেস প্রথম দেওয়াল ঘেরা শুরু করেছিল। দু’দিন পরে ওই ওয়ার্ডেই বিজেপি-র জেলা সভাপতি শমিত দাস দলের প্রতীক এঁকে দেওয়াল লিখন শুরু করেন। পরে বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ তাঁর সংসদীয় কেন্দ্রের অন্তর্গত খড়গপুর গ্রামীণ বিধানসভা কেন্দ্রের মাতকাতপুর এলাকায় দেওয়াল লিখন করেছিলেন।
প্রার্থীর নাম উহ্য রেখেই চন্দ্রকোনার ভগবন্তপুর-১ অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে দেওয়াল লেখার কাজ শুরু হয় সোমবার সকাল থেকে। দলের প্রতীকের পাশাপাশি ব্যঙ্গচিত্র এঁকে ছড়া লেখা হয়েছে। এক ব্যক্তি পদ্মফুল ধরে এগিয়ে যাচ্ছেন, আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তৃণমূলের প্রতীক হাতে নিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছেন। দেওয়াল লেখায় তৃণমূলে ভোট দেওয়ার আবেদন জানানো হয়েছে।
একুশের নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা হয়নি। কিন্তু তার আগেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক দলগুলির নির্বাচনী প্রচার। মেদিনীপুরে ১৯ ডিসেম্বর অমিত শাহের সভায় যোগ দেওয়ার পর থেকেই তৃণমূলের নিশানায় শুভেন্দু অধিকারী। তৃণমূল ছেড়ে বিজেপি-তে যোগ দেওয়ার পর থেকেই তাঁকে ‘মীরজাফর, গদ্দার’ তকমায় বিদ্ধ করা হচ্ছে তৃণমূলের তরফে। এ বার দেওয়াল লিখনেও উঠে এসেছে বিভিন্ন ছড়া এবং ব্যঙ্গচিত্র।
এ প্রসঙ্গে ভগবন্তপুর-১ অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেসের আহ্বায়ক আরমান আলি খান বলেন, ‘‘দীর্ঘ দিন তৃণমূল থেকে বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা নিয়ে যাঁরা এখন অন্য দলে চলে যাচ্ছেন, সেই নেতাদের বাংলায় স্থান নেই। দেওয়াল লিখনের মাধ্যমে সেই বার্তা প্রচার করছি আমরা।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy