Advertisement
২৩ নভেম্বর ২০২৪
COVID-19

COVID-19 Hospital: রোগীর অভাব! বাঁকুড়ার একমাত্র কোভিড হাসপাতালে আপাতত বন্ধ করোনার চিকিৎসা

বৃহস্পতিবার এ নির্দেশ বাঁকু়ড়া জেলা স্বাস্থ্য দফতরের। কোভিড রোগীর অভাবেই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে দাবি তাদের।

কোভিড রোগীর অভাবেই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে দাবি বাঁকুড়া জেলা স্বাস্থ্য দফতরের।

কোভিড রোগীর অভাবেই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে দাবি বাঁকুড়া জেলা স্বাস্থ্য দফতরের। —নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
বাঁকুড়া শেষ আপডেট: ১৭ ডিসেম্বর ২০২১ ১৭:২৯
Share: Save:

ওমিক্রন সংক্রমণের উদ্বেগ বাড়লেও বাঁকুড়ার একমাত্র কোভিড হাসপাতালে আপাতত বন্ধ হবে করোনা রোগীদের চিকিৎসা পরিষেবা। বৃহস্পতিবার এ নির্দেশ বাঁকুড়া জেলা স্বাস্থ্য দফতরের। কোভিড রোগীর অভাবেই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে দাবি তাদের।

স্বাস্থ্য দফতরের নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, ওন্দা কোভিড হাসপাতালে ২০ ডিসেম্বর থেকে করোনা রোগী ভর্তি বন্ধ রাখা হবে। তার বদলে চালু হবে সাধারণ অসুখের চিকিৎসা পরিষেবা। যদিও নির্দেশিকায় স্পষ্ট বলা হয়েছে যে, হাসপাতালের কোভিড চিকিৎসার পরিকাঠামোগত বদল করা চলবে না। করোনার বাড়বাড়ন্ত হলে তিন দিনের মধ্যে একে ফের কোভিড হাসপাতালে বদলে ফেলতে হবে।

২০২০ সালের এপ্রিলে করোনা মোকাবিলায় ওন্দা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালকে রাতারাতি কোভিড হাসপাতালে বদলে ফেলে বাঁকুড়া জেলা স্বাস্থ্য দফতর। হাসপাতাল সূত্রে খবর, গত ১৮ মাসে এ হাসপাতালের ২৫০টিরও বেশি বেডে চিকিৎসা পরিষেবা পেয়েছেন ৫ হাজারেরও বেশি কোভিড রোগী। প্রায় ৩৫০ জনের মৃত্যু হলেও বাকিরা সুস্থ হয়ে উঠেছেন। বাঁকুড়া ছাড়াও পুরুলিয়া, পশ্চিম মেদিনীপুর এবং ঝাড়গ্রাম থেকেও আক্রান্তরা এই হাসপাতালে ছুটে এসেছেন।

তবে স্বাস্থ্য দফতরের দাবি, করোনার বাড়বাড়ন্তের সময় এই হাসপাতালে বেড পাওয়া কঠিন হয়ে পড়লেও চলতি বছরের অক্টোবর থেকে রোগীর সংখ্যা কমতে থাকে। ডিসেম্বরের গোড়া থেকে রোগীর সংখ্যা খাতায়কলমে প্রায় শূন্য। ফলে রোগীবিহীন হিসাবে ফেলে না রেখে আপাতত একে সাধারণ সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল হিসাবে ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাঁকুড়া প্রশাসন-সহ জেলা স্বাস্থ্য দফতর। হাসপাতালের সুপার মণিরুল ইসলাম বলেন, “স্বাস্থ্য দফতরের নির্দেশিকা মেনে ২০ ডিসেম্বর থেকে আপাতত এ হাসপাতালে কোভিড রোগী ভর্তি বন্ধ রেখে সাধারণ অসুখের চিকিৎসা শুরু করছি। প্রয়োজনে ফের একে দ্রুত কোভিড হাসপাতালে পরিণত করার পরিকাঠামো তৈরি রাখা হচ্ছে।’’

তবে এই সিদ্ধান্তে খুশি এলাকার একাংশ। স্থানীয় বাসিন্দা সাবিত্রী সরকার বলেন, “কোভিড হাসপাতাল হওয়ায় দেড় বছরে সাধারণ সর্দি-জ্বরের চিকিৎসাতেও ২৫ কিলোমিটার দূরে বাঁকুড়া শহরে ছুটতে হত। ফের সাধারণ অসুখের চিকিৎসা শুরু হলে হয়রানি কমবে।”

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy