শুভেন্দু অধিকারী এবং মুকুল রায়। নিজস্ব চিত্র।
কৃষ্ণা রায়ের মৃত্যুতে বিধায়ক মুকুল রায়কে ব্যক্তিগত শোক বার্তা পাঠালেন শুভেন্দু অধিকারী। বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু ব্যক্তিগত ভাবে মোবাইলে মেসেজ পাঠিয়ে স্ত্রী-বিয়োগের সমবেদনা জানিয়েছেন মুকুলকে। মঙ্গলবার অবশ্য টুইটারে মুকুলকে সমবেদনা জানিয়েছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ও।
বিজেপির প্রার্থী হিসেবে বিধায়ক হওয়া মুকুল কিছুদিন আগেই পুরনো দল তৃণমূলে ফিরেছেন। তৃণমূলে মুকুলের এই প্রত্যাবর্তন নিয়ে শুভেন্দু প্রকাশ্যেই আক্রমণাত্মক মন্তব্য করেছিলেন মুকুলের বিরুদ্ধে। জনপ্রতিনিধি আইনে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছিলেন। এমনকি মুকুলকে বিধায়ক পদ ছাড়তে বাধ্য করবেন বলেও মন্তব্য করেছিলেন শুভেন্দু। মঙ্গলবার কৃষ্ণা রায়ের মৃত্যুর মুকুলকে মোবাইল বার্তা পাঠানো প্রসঙ্গে অবশ্য তিনি বলেন, ‘‘(মুকুলের সঙ্গে) ব্যাক্তিগত সম্পর্কের কারণেই এই মেসেজ পাঠিয়েছি।’’
স্ত্রী-বিয়োগে মুকুলকে শোক জ্ঞাপন করেছেন রাজ্যপাল। টুইটারে ধনখড় লিখেছেন, ‘পশ্চিমবঙ্গের বিধায়ক এবং প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মুকুল রায়ের স্ত্রী-র মৃত্যুতে সমবেদনা জানাচ্ছি। ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করব, তিনি ওঁদের এই ব্যক্তিগত ক্ষতি সহ্য করার শক্তি দিন।’
বিজেপিতে মুকুল-শুভেন্দুর সুসম্পর্কের বিশেষ উদাহরণ না থাকলেও দু’জনের মধ্যে তিক্ততা প্রকাশ্যে আসেনি কখনও। যদিও রাজনৈতিক মহলের ব্যাখ্যা বিজেপিতে শুভেন্দু যোগ দেওয়ার পরই মুকুলের গুরুত্ব কিছুটা কমতে শুরু করেছিল। বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি হওয়া সত্ত্বেও বাংলার বিধানসভা ভোটে বিজেপির মুখ হয়ে উঠেছিলেন শুভেন্দুই। তবে রাজনৈতিক সম্পর্ক যা-ই হোক ব্যক্তিগত সৌজন্য যে তাতে বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি, মঙ্গলবার মুকুলকে ব্যক্তিগত বার্তা পাঠিয়ে কি তাই বোঝাতে চাইলেন শুভেন্দু?
প্রসঙ্গত, মুকুলের স্ত্রী কৃষ্ণা যখন কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন, তখন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তাঁর শারীরিক অবস্থার খোঁজ খবর নিলেও শুভেন্দু খবর নেননি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy