(বাঁ দিকে) নুর আলি। রফিক গাজি (ডান দিকে)। — ফাইল চিত্র।
সকলেই নির্দোষ ছিলেন। ওঁদের সাজা মকুব হওয়ায় দারুণ খুশি। শুক্রবার হাই কোর্টের নির্দেশের নুর আলি এবং রফিক গাজি বেকসুর খালাস পাওয়ার পর এই কথাই বললেন তাঁদের পরিবারের সদস্যেরা। তাঁদের মুক্তিতে কামদুনিতে ‘খুশির মেজাজ’, জানালেন আইনজীবী সঞ্জীব দাঁ।
১০ বছর আগে কামদুনির ছাত্রীকে ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনায় নুর এবং রফিককে আগেই বেকসুর খালাস করেছিল নিম্ন আদালত। নিম্ন আদালতের এই রায়ের বিরুদ্ধে কলকাতা হাই কোর্টে আবেদন করে রাজ্য। সেই আবেদনের মামলায় শুক্রবার রফিক এবং নুরকে বেকসুর খালাস করল হাই কোর্ট। বহাল রাখল নিম্ন আদালতের রায়। এই প্রসঙ্গে আইনজীবী সঞ্জীব বলেন, ‘‘নুর এবং রফিক নির্দোষ। ঘটনাটি যেখানে হয়েছিল, পরের দিন কামদুনির সেই প্রাচীর ঘেরা জায়গায় বসে বিড়ি খাচ্ছিলেন দু’জন। পুলিশ তুলে নিয়ে যায়।’’ সঞ্জীব জানিয়েছেন, তাঁর মক্কেলদের কোনও দোষ নেই। অপরাধ ঘটিয়েছেন আনসার আলি এবং সইফুল আলি। কলকাতা হাই কোর্ট তাঁদের আমৃত্যু যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে।
কলকাতা হাই কোর্টে শুক্রবার নুর এবং রফিককে নিয়ে যে রায় দিয়েছে, তাতে খুশি কামদুনি। জানালেন এ আলি। কামদুনিকাণ্ডের অন্যতম দোষী আনসার আলির ভাই। রফিক এবং নুর তাঁর পূর্বপরিচিত। একই এলাকায় থাকেন। তাঁদের বেকসুর খালাসের রায় প্রসঙ্গে আলি বলেন, ‘‘সকলেই নির্দোষ ছিলেন। নুর এবং রফিকের সাজা মকুব হওয়ায় আমরা খুশি। ওঁদের জন্যও খুশি।’’ তিনি এ-ও দাবি করেছেন, তাঁর দাদা নির্দোষ। তিনি বলেন, ‘‘ঘটনার দিন দাদা বাড়িতে ছিলেন। তিনি নির্দোষ। দাদা জড়িত ছিলেন না। জড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।’’ এর পরেই তিনি উচ্চ আদালতে যাওয়ার কথা জানিয়েছেন। এ আলি বলেন, ‘‘হাই কোর্টের রায় তো মানতেই হবে। সংবিধান মেনে সকলকে চলতে হবে। উচ্চ আদালতে যাব। তার জন্য যেখানে যেটা প্রয়োজন হবে, করতে হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy