নিজস্বী: ‘বেঙ্গল রাইট অ্যাহেড’ বই প্রকাশ অনুষ্ঠানে ছাত্রীদের সঙ্গে ডেরেক ও’ব্রায়েন। শনিবার লোরেটো কলেজে। ছবি: স্বাতী চক্রবর্তী।
‘লা লা ল্যান্ড’ বা ‘মুনলাইট’-এর কথা এই আড্ডায় ওঠাটাই স্বাভাবিক। কিন্তু দেখা গেল, ‘কন্যাশ্রী’ বা ‘সবুজ সাথী’ নিয়ে আগ্রহেও কম যায় না একেলে ‘জেনারেশনেক্সট’।
লোরেটো কলেজের ভূগোল অনার্সের পড়ুয়া মেঘা রায় যেমন বোঝালেন, বাংলার গাঁয়ে গাঁয়ে স্কুলপড়ুয়াদের ‘সবুজ সাথী’-র সাইকেল সরবরাহের মধ্যে দিয়েই সাইকেল শিল্পের নতুন দিক খুলে যাচ্ছে। শুনে চোখমুখ উদ্ভাসিত ডেরেক ও’ব্রায়েনের। পরে তিনি বললেন, ‘‘রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ও তো একটি অনুষ্ঠানে এই প্রকল্পের প্রশংসা করে একই কথা বলছিলেন।’’
শনি-সকালে একটি বই প্রকাশের আসর এ ভাবেই নানা রঙে ডানা মেলল। বছরখানেক আগে রাজ্যে ভোটের হাওয়ায় ইন্টারনেটে বাংলা ও বাঙালি বিষয়ে ইতিবাচক লেখালেখির ডাক পাঠানো হয়েছিল—‘বেঙ্গল রাইট অ্যাহেড’ নামে। ফেসবুকে, রেডিওয় চলে জোরদার প্রচার। সেই সব লেখার মধ্যে বাছাই ৫০টি প্রতিবেদনই এ বার বই হয়েছে।
তৃণমূলের রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক এই আসরে বলছিলেন, ‘‘অনেক সময়েই দেখি, এখানকার ছেলেমেয়েরা কলেজে ঢোকার বয়সেই কাঁড়ি-কাঁড়ি টাকা খরচ করে কোনও লা-লা ল্যান্ডে পড়তে যাওয়ার স্বপ্ন দেখে। বহু অখ্যাত আমেরিকান বিশ্ববিদ্যালয় কিন্তু মোটেই তেমন পদের নয়।’’ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি অনার্স প্রথম বর্ষ উজান গঙ্গোপাধ্যায়ও বললেন, ‘‘লোভ থাকলেও পরে ভেবে দেখেছি, যেখানে পড়ছি, এর থেকে ভাল জায়গায় পড়ার সুযোগ সহজে মিলত না!’’
রাজ্যের টুকরো টুকরো সাফল্যের গল্পই তুলে ধরছে ‘বেঙ্গল রাইট অ্যাহেড’ বইটি। কলেজে কলেজে উসকে দিচ্ছে বাংলা নিয়ে চর্চা। ডেরেক বলছিলেন, ‘‘আমি রাজনীতির লোক, আবার বাংলার মানুষ। কিন্তু বাংলা নিয়ে আড্ডার সময়ে দলের পতাকা বা স্লোগান কিচ্ছু সঙ্গে রাখব না!’’
আরও পড়ুন: পড়ার বাইরের ফি জুড়েই মহার্ঘ স্কুল
যাঁদের লেখা নিয়ে বইটি, এ দিন লোরেটো কলেজের অনুষ্ঠানটিতে দেখা মিলেছে তাঁদেরও। কলকাতার কলেজছাত্রী, বালির ছোট পত্রিকা প্রকাশক বা শিলিগুড়ির স্কুলশিক্ষক— নানা মুখের ভিড়। সবার হাতে-হাতে ফেসবুকের নানা কিসিমের স্মাইলি এবং মুগ্ধতার স্টিকার!
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy